কুমিররাও চিবিয়ে খেত
১০ আগস্ট ২০১০অগত্যা সরীসৃপ হিসেবেই তাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে...
কুমির নিয়ে সর্বশেষ এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ হলো গত বুধবার৷ তা প্রকাশ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা৷ কুমিররাও বিবর্তনের একটা পর্যায়ে চিবিয়ে খেতে পারতো - এই সিদ্ধান্তে আসতে তাদের পথ দেখিয়েছে তানজানিয়ায় পাওয়া একটি জীবাশ্ম৷ আফ্রিকার দেশটিতে ২০০৮ সালে পাওয়া যায় কুমিরের গোত্রের ওই প্রাণীর জীবাশ্ম৷ এনিয়ে টানা দুই বছর ধরে চলে নিবিড় গবেষণা৷ এরপরই সিদ্ধান্ত টানলেন গবেষকরা৷
প্রাণীটি দেখতে কুমিরের মতো হলেও আকারে ছিলো অনেক ছোট৷ ১০ থেকে ১৫ কোটি বছর আগে আফ্রিকায় ছিলো এই প্রাণীর বাস৷ বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘পাকাসুশাস কালিলিমাই'৷ সোয়াহিলি ভাষায় ‘পাকা' মানে হলো বিড়াল৷ লম্বায় বড় ধরনের বিড়ালের মতো হওয়ায় এর এই নাম৷ কাপিলিমাই শব্দটি এসেছে তানজানিয়ার প্রখ্যাত জীবাশ্মবিদ সাইদি কালিলিমাই-এর নাম থেকে৷
গবেষক দলের প্রধান প্যাট্রিক ও কনর বললেন, ‘‘এর মাথাটি মানুষের হাতের তালুতেই এঁটে যাবে৷ প্রায় সব কিছু কুমিরের মতো হলেও এর দাঁতের দিকে যদি দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করা যায়, তখন এটাকে আর কুমির বলে মনে হবে না৷ মনে হবে, ম্যামাল, মানে কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণী৷ খাবার চিবিয়ে খাওয়ার জন্য চর্বন দাঁতও এর ছিল৷''
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ন্যান্সি স্টিভেন্স বললেন, এখনকার কুমিরের কর্তন দাঁত ছাড়া আর কিছু নেই৷ অর্থাৎ একটি বিষয়ে এই পূর্ব পুরুষের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অমিল রয়েছে কুমিরের৷ শুধু তাই নয়, এই প্রাণীটির মেরুদণ্ডও ছিলো নমনীয়, যা স্তন্যপায়ীদের বেলায় দেখা যায়৷ যার মানে হলো, স্তন্যপায়ী প্রাণী হওয়ার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলো এই জীবটি৷ কিন্তু কোনো কারণে তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা, ‘পাকাসুশাস কালিলিমাই' জলে নয়, জীবনের বেশি অংশই কাটাতো স্থলে৷ আর এর আহার ছিলো কীটপতঙ্গ আর ক্ষুদে জীব৷
প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক