1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেমন আছেন ইরানের নারীরা?

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০

ইরানের কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক নারীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ তুলেছে৷ তাঁকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের মুখে পাথর ছুঁড়ে হত্যার এই সিদ্ধান্ত পরে বাতিল করা হয়৷

https://p.dw.com/p/PFRN
ছবি: AP

এ তো গেলো একটি ঘটনা৷ কিন্তু ইরানের নারীরা আসলে কেমন আছেন? সাকিনেহ মোহাম্মদি আস্তিয়ানি৷ যাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়াতে বিশ্বের তুমুল প্রতিবাদের মুখে তা আর করতে পারেনি ইরানের কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু তাই বলে হত্যার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি৷ সাকিনেহকে ফাঁসি দিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে বলে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে৷

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসো পাথর ছুঁড়ে হত্যার এই সিদ্ধান্তকে ‘এতোটাই বর্বরোচিত যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়' বলে অভিহিত করার পরে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়৷

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে ব্যভিচার একটি বড় অপরাধ৷ ২০০৬ সালে এই অপরাধেই অভিযুক্ত করা হয় সাকিনেহকে৷ একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তার স্বামীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও আনা হয়েছে৷ ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পরে শরিয়া আইনের অধীনে ব্যাভিচারকে একমাত্র অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় পাথর ছুঁড়ে৷ আর হত্যাকাণ্ডের দায়ে ইরানে শাস্তি দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড৷ একজন আইনজীবী বলেছেন, আস্তিয়ানিকে যদি ফাঁসি দেয়া না হয়, তবে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে৷

Film Three Women Iran 2007
ছবি: Iranian Independents

এ তো গেলো একজন সাকিনেহ আস্তিয়ানির কথা৷ কিন্তু ইরানের সাধারণ মেয়েরা কেমন আছেন? আর তাদের স্বাধীনতাই বা কতটুকু?

মুসলিম ক্যানেডিয়ান কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং ডিরেক্টর অফ শরিয়া ল, হাসান মাহমুদ ইরানের মহিলাদের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বললেন, ‘‘ইরানের মহিলারা এখন অত্যন্ত নির্যাতিত এবং ইসলামের নামে নির্যাতিত৷ এবং সেই নির্যাতনের বর্ণনা দেওয়া হয়তো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়৷''

বাড়ির বাইরে অর্থাৎ পথে-ঘাটে, মেয়েদের বোরখা বা নেকাব পরা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু কখনো যদি কোন মেয়ের মাথার একটু চুলও কোনভাবে বের হয়ে যায়, তবে তাঁকে মারাত্মক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়৷ এমন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকতে না পেরে অনেকেই নিজ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইরান ছেড়ে চলে গেছেন৷ কিন্তু সবার তো সেই সুযোগ বা সাধ্য নেই৷ তাঁরা বাস করছেন এক ভয়াবহ চাপের মধ্যে৷

এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার উপায় সম্পর্কে হাসান মাহমুদ বললেন, ‘‘এর থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র উপায় হচ্ছে প্রকৃত ইসলামকে ভালো ভাবে জানা৷ এবং শারিয়া আইন ভিত্তিক ইসলামি রাষ্ট্রের তত্ত্বটা যে, ইসলাম বিরোধী কেন, সেই দলিলগুলো পড়া এবং জানা৷ তাহলেই বিশ্বের মুসলমান বুঝতে পেরে ওটাকে পরিত্যাগ করবে৷''

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন