1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কোপেনহেগেন সমঝোতার’ পক্ষে সমর্থন জোরদার

৩১ মার্চ ২০১০

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘কোপেনহেগেন সমঝোতার’ পক্ষে সমর্থন দিয়েছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, রাশিয়া, ও ভারতসহ শীর্ষ নির্গমনকারীরা৷ ইইউ এবং ১১১টি দেশ ‘আইনি বাধ্যবাধকতাহীন’ এ সমঝোতার পক্ষে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানালো৷

https://p.dw.com/p/MjDx
কোপেনহেগেন সমঝোতা কার্যকর করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছেছবি: AP

‘জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কাঠামোগত সম্মেলন' (ইউএনএফসিসিসি) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অগ্রগতির কথা জানায়৷ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী গ্রিন হাউস গ্যাসের শীর্ষ নির্গমনকারী দেশগুলো এ সমর্থন জানানোয় ‘কোপেনহেগেন সমঝোতার' বিষয়ে গত কয়েক মাসের অনিশ্চয়তা কিছুটা হলেও দূর হল৷

গত বছরের ডিসেম্বরে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন' বা পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার বিষয়ে সমঝোতা হয়৷ কিন্তু এটা সহ অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা পূরণে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতায় রাজি হয়নি শীর্ষ নির্গমনকারী দেশগুলো৷ ফলে ১৯৪ জাতির ওই সম্মেলনে কাঙ্খিত ‘জলবায়ু চুক্তি' স্বাক্ষরিত না হলেও আইনি বাধ্যবাধকতাহীন যে সমঝোতা হয়েছে তাকে ‘কোপেনহেগেন সমঝোতা' বলে অভিহিত করা হচ্ছে৷

কোপেনহেগেনে একটি কার্যকর জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থতার জন্য শীর্ষ নির্গমনকারী দেশগুলোকে দোষারোপ করে আসছে উন্নয়নশীল দেশগুলো৷ তবে, পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হলেও যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানায় আগ্রহী দেশগুলো ‘কোপেনহেগেন সমঝোতার' পক্ষে আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানাতে পারে৷ এ প্রক্রিয়াতেই এ পর্যন্ত মোট ১১১টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এতে সমর্থন জানালো৷

কোপেনহেগেন সমঝোতায় বিশ্ব উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার লক্ষ্যে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমানোর কথা বলা হলেও দেশগুলোকে লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি৷ একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিশেষ তহবিল গঠনেরও কথা বলা হয়েছে ওই সমঝোতায়৷ তবে, সে বিষয়েও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দায়দায়িত্ব স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ করে আসছেন সমালোচকরা৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক