1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাসিনা-খালেদা বৈঠক? নাকি শুধুই স্বপ্ন?

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আন্তর্জাতিক মহলও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে৷ হরতাল-অবরোধ চলছেই৷ অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক৷ মানুষ মারা হচ্ছে পুড়িয়ে৷ এবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবর –শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া বৈঠকে বসেছেন!

https://p.dw.com/p/1EdED
Sheikh Hasina
ছবি: Reuters

দেশের প্রতিটি শান্তিপ্রিয় মানুষই চায় প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ আর বিএনপির দুই নেত্রী অনড় অবস্থান থেকে দেশের কথা ভেবে অন্তত সরে আসুন৷ সংলাপের মাধ্যমে অচলাবস্থা নিরসনের দাবি মেনে তাঁরা বৈঠকে বসুন৷ কিন্তু সবাই চাইলেও তা আর হচ্ছে কই? আওয়ামী লীগ সরকার বলছে, আন্দোলনের নামে যারা নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারে, তারা সন্ত্রাসী৷ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ না করা পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ কখনো সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ৷

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে হবে৷ নির্বাচনের রূপরেখা প্রণয়নের জন্য সরকারের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব তুলে ধরে নানা সময়ে বক্তব্যও রেখেছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা৷

সামহয়্যার ইন ব্লগে ভুল বানান এবং ভুল বাক্যে ভরা একটি লেখায় হঠাতই এক সুখবর দিয়েছেন হারুনর রশিদ৷ তাঁর লেখার শিরোনাম, ‘কোটি মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুই নেত্রীর অন্তরঙ্গ বৈঠক'৷

বানান যত ভুলই হোক খবরটা তো ভীষণ প্রত্যাশিত৷

Bangladesh BNP Begum Khaleda Zia
বিএনপি দলনেত্রীছবি: picture-alliance/dpa

হারুনর রশিদ জানিয়েছেন, ‘‘অবিশ্বাস্য হলেও সত্য কোটি মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হলেন দেশের দুই নেত্রী৷ তাও কোনো সংলাপ নয়৷ আজব এক কেরামতিতে তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠেন পরস্পরকে দেখার জন্য৷ তবে ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন সরকার প্রধান নিজেই৷ শুক্রবার রাতের খাবার শেষে ঘুমাতে যান প্রধানমন্ত্রী৷ ঠিক নিজের কাজ কর্ম সেরে বিরোধী দলীয় নেত্রীও শুয়ে পড়েন বিছানায়৷''

তারপর? হারুনর রশীদ জানিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটিই আসলে স্বপ্ন৷ দুই নেত্রী নাকি স্বপ্ন দেখেছেন৷

তারপর পুরো বিষয়টি নিয়ে বিদ্রূপ করেছেন হারুনর রশীদ৷ তবে বাংলাদেশের এখন যা পরিস্থিতি তা নিয়ে বিদ্রূপ করা অনেকাংশে অমানবিক৷ দেশের অনেক পরিবারে এখন প্রিয়জন হারানো শোকের ছায়া৷ অনেকেরই সময় কাটছে পেট্রোল বোমায় ঝলসানো প্রিয়জনদের পাশে৷ অনেক পরিবারে চলছে শোকের মাতম৷

সামহয়্যার ইন ব্লগে এই পেট্রল বোমা হামলায় প্রতিদিন মানুষ হত্যার বিষয়টি নিয়েই খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন রেখেছেন রাফা৷ রাফা জানতে চেয়েছেন, ‘‘মায়েশার মায়ের কান্না কি পৌঁছুবে দেশনেত্রীর কানে?''

Bildergalerie Bangladesch Unruhen
জ্বলছে আগুনছবি: DW/M. Mamun

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে রাফা লিখেছেন, ‘‘আপনি না দেশনেত্রী মনে করেন নিজেকে? কোন দেশের নেত্রী আপনি? কাদের নেত্রী আপনি,দয়া করে বলুন৷ যে মেয়েটির স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে ডাক্তার হবে, মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মায়শা মায়ের কোলে ঘুমিয়েছিল বাসের ছোট্ট পরিসরে৷ মায়শা বুঝতেও পারলোনা কেমন করে কে হত্যা করলো তাকে৷ কি অপরাধে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো তাকে? মায়শার পিতা নিজে পুড়ে গিয়েও রক্ষা করতে পারলেন না নিজের মেয়েকে৷''

শেষ অংশে রাফা লিখেছেন, ‘‘অনুগ্রহ করে সবাই মিলে একটা কথাই বলুন – মানুষকে পুড়িয়ে মারা বন্ধ করা হোক৷ যে রাজনীতি মানুষকে পুড়িয়ে মারে সে রাজনীতি আমরা চাইনা৷ গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে মানুষকে কবরে পাঠিয়ে কিসের গণতন্ত্র? আমরা গণতন্ত্র চাইনা, ভোট দেওয়ার অধিকারও চাইনা, আমাদেরকে বাঁচতে দিন দয়া করে৷ আর যদি তা না দেন তাহলে ৭১-এর মতো জীবন বাজি রেখে আবার ঝাঁপিয়ে পড়বো আপনাদের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য৷''

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান