কোরাজন তনয় বেনিনো আকিনো ফিলিপিন্সের নতুন প্রেসিডেন্ট
৩০ জুন ২০১০শপথ গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দূর্নীতি নির্মূল করতে নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত তিনি৷
প্রথমে কিছুতেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাননি বেনিনো৷ বাবা-মায়ের প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের ভালবাসাই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে৷ শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন৷
বেনিনো আকিনোর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া মাকাপাগাল অরোয়ো৷ দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে দূর্নীতি সহ মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ রয়েছে৷
বুধবার শপথ গ্রহণ করার পর ৫০ বছর বয়স্ক বেনিনো আকিনো বলেন, আমি কোনদিন ভাবিনি আমি এতদূর এসে পৌঁছাবো, আমি আপনাদের সামনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবো৷ আমি কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি আমাকে কখনো আশার প্রতীক হিসেবে দেখা হবে৷ দেশের সমস্যা সমাধানে আমাকে এগিয়ে আসতে হবে৷
নির্বাচনের ফল অনুযায়ী বিশাল ব্যবধানে বেনিনো আকিনো জয়ী হয়েছেন৷ ১৯৮৬ সালে প্রয়াত কোরাজন আকিনোও ঠিক একইভাবে এরকম একটি বিজয় উপহার দিয়েছিলেন ফিলিপিন্সের মানুষকে৷
শপথ গ্রহণ করার আগে বেনিনো আকিনো সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া মাকাপাগাল অরোয়োকে ম্যানিলার সমুদ্রধারে অবস্থিত রিজাল পার্কে আমন্ত্রণ করেন, তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানান৷ এই রিজাল পার্কেই প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ সমবেত হয় জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে৷ সেই সময় দুটি হেলিকপ্টার উড়ে যায়৷ হেলিকপ্টার থেকে হলুদ রঙের ফুল এবং ফুলের পাপড়ি মানুষের ওপর ছড়িয়ে দেয়া হয়৷ এই হলুদ রঙই ছিল বাবা বোনিনো আকিনোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক৷ মা কোরাজন আকিনোও তুলে নিয়েছিলেন এই রঙটিকেই৷ উপস্থিত মানুষের হাতেও ছিল হলুদ রঙের ফিতা, বেলুন এবং ব্যানার৷ তারা বেনিনোর ডাক নাম ‘নয়নয়' বলে উল্লাস ধ্বনি করতে থাকে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদন: আবদুল্লাহ আল-ফারূক