1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব

২০ ডিসেম্বর ২০১০

দক্ষিণ কোরিয়ার আসন্ন সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে কোরীয় উপদ্বীপে চলছে টানটান উত্তেজনা৷ সউলের মহড়ার প্রস্তুতির জবাবে পিয়ংইয়ং তার গোলন্দাজ বাহিনীকে সতর্কাবস্থায় রেখেছে৷ এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের বৈঠকেও কোন ফলাফল আসেনি৷

https://p.dw.com/p/Qg6O
উত্তর, দক্ষিণ, কোরিয়া, যুদ্ধ, সামরিক, মহড়া, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাতিসংঘ, korea, un, usa, china, russia, military
ছবি: AP

সর্বশেষ পরিস্থিতি

দুই কোরিয়ার সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত ইয়নপিয়ং দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার কথা আজ৷ তবে দুই কোরিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই মহড়া পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল৷ কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সূত্রে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, আজ সোমবারই মহড়া শুরু করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সউলের সামরিক কর্মকর্তারা৷ ইতিমধ্যে সেজন্য জোর প্রস্তুতিও চলছে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে, মহড়ার স্থল ইয়নপিয়ং দ্বীপের অধিবাসীদের সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে এই মহড়ার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, এই মহড়ার জবাব তারা দেবে সামরিক ভাবেই৷ ইতিমধ্যে উত্তর কোরিয়া তার গোলন্দাজ বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে৷ অর্থাৎ কোরীয় উপদ্বীপে এখন অনেকটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব৷

উত্তর, দক্ষিণ, কোরিয়া, যুদ্ধ, সামরিক, মহড়া, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাতিসংঘ, korea, un, usa, china, russia, military
সেনাদের টহলছবি: AP

বৈঠক ব্যর্থ

এই অবস্থাতে তো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে গোটা আন্তর্জাতিক মহল৷ ইতিমধ্যে রাশিয়ার আহ্বানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকও করেছে৷ কিন্তু জরুরি বৈঠক শেষে হতাশাজনক ফলাফলই দেখা গেছে৷ বৈঠক শেষে জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভিতালি চারকিন জানিয়েছেন এই কথা৷ একটু পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুজান রাইসও বৈঠকে অচলাবস্থার কথা জানিয়েছেন৷ রুশ রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, দুই কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি পাঠানোর ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে৷ অন্যদিকে সুজান রাইস জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার আক্রমণাত্মক কার্যক্রম থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার নিজেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে৷

দ্বিধাবিভক্ত পরিষদ

জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলা বিনিময়ের ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার প্রতি নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে দ্বিমত দেখা গেছে বড় দেশগুলোর মধ্যে৷ বিশেষ করে চীন এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি৷ অন্যদিকে রাশিয়া দুই পক্ষকেই সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের জন্য আহ্বান জানালেও সেই প্রস্তাবেও তেমন সাড়া মেলেনি নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলোর কাছ থেকে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য