1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোলতানে আঙুলের ছাপই বলে দেবে খনিটি কোথায়

২৩ আগস্ট ২০১০

কোলতান, শব্দটি অচেনা লাগলেও এই নামের পদার্থটি আমরা ব্যবহার করি প্রতিদিনই৷ কোলতান এক ধরণের ধাতু যা রকেট, জেট ইঞ্জিন, ক্যামেরার লেন্স, সেল ফোন, ডিভিডি প্লেয়ার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক জিনিস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়৷

https://p.dw.com/p/Otpf
কোলতানের সবচেয়ে বড় খনিটি রয়েছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয়ছবি: BGR

কোলতান খুবই দামী ধাতু৷ আর দামী এবং মূল্যবান হওয়ার কারণেই এই কোলতান নিয়েও চলছে সংঘর্ষ, সংঘাত৷ ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে সারা বিশ্ব ‘ব্লাড ডায়মন্ড' এবং অন্যান্য হীরা খনির বিভিন্ন পদার্থ এবং ধাতু নিয়ে মেতেছিল রক্তাক্ত সংঘর্ষে৷ বিশেষ করে লাইবেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং সিয়েরালিওনে৷ এখন সবাই খুবই সতর্ক হীরা কেনার সময়৷ সবাই প্রশ্ন করে এই হীরা আসছে কোথা থেকে, হীরা খনিতে যে সব শ্রমিক কাজ করে তারা যথাযথ পারিশ্রমিক পাচ্ছে কিনা৷

বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, বিভিন্ন কোলতান কোথা থেকে এসেছে এবং তা বৈধ কিনা তা যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে৷ এর ফলে যে কোনো সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে কোলতান ক্রয় রোধ করা সম্ভব হবে৷

Coltan in Mozambique
কোলতানে আঙুলের ছাপই বলে দেবে খনিটি কোথায়ছবি: BGR

কোলতানের সবচেয়ে বড় খনিটি রয়েছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয়৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে যত কোলতান আহরিত হয়, তার অর্ধেকই আসে আফ্রিকা থেকে৷ এর আগে শীর্ষ অবস্থানে ছিল কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া৷ কোলতানের দাম পড়ে যাওয়ায় এই দেশ দুটি অসংখ্য খনি বন্ধ করে দেয়৷

গত বছর লন্ডনের একটি পরামর্শক সংস্থা জানায়, রোয়ান্ডায় হুতু গেরিলাদের আর্থিকভাবে যে সাহায্য এবং সহযোগিতা করা হয়েছিল তার ৭৫ শতাংশ ছিল কোলতান বিক্রয়লব্ধ অর্থ৷

কোলতানের বিষয়ে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার সচেতন হচ্ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি একটি আইন পাশ করেছেন তাতে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, যে কোনো খনিজ পদার্থ বা ধাতু উত্তোলনে আরো স্বচ্ছতার প্রয়োজন৷

জার্মান বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোন কোলতান সংঘাতমুক্ত এলাকা থেকে এসেছে তা তারা নির্ণয় করতে সক্ষম৷ তাদের মতে, কোলতানের গায়ে শ্রমিকদের আঙুলের ছাপ থাকে৷ যদি সেই ছাপ পরীক্ষা করা হয় তাহলে খুব সহজেই বোঝা যাবে ওই কোলতান কোনো সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে এসেছে কিনা৷ আঙুলের ছাপ ছাড়াও আরো বেশ কিছু পদ্ধতির কথা বলেন বিজ্ঞানীরা৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম