1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে শরণার্থী আসা কমেছে

২৫ এপ্রিল ২০১৬

উত্তর আফ্রিকার তিন দেশ – আলজেরিয়া, মরক্কো ও টিউনিশিয়া থেকে জার্মানিতে শরণার্থী আসার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কমেছে৷ জার্মানির কোলন শহরে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নের ঘটনা এর অন্যতম কারণ৷

https://p.dw.com/p/1Ic4W
শরণার্থী
ছবি: picture-alliance/dpa

ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশ উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত৷ তাই জার্মানি ঐ তিন দেশকে ‘নিরাপদ দেশ' হিসেবে উল্লেখ করে একটি আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে৷ উল্লেখ্য, কোনো দেশ নিরাপদ বলে বিবেচিত হলে সেই সব দেশ থেকে আসা নাগরিকদের জার্মানিতে আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না৷

জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, বিএএমএফ সম্প্রতি সংসদকে জানায়, গত জানুয়ারিতে ঐ তিন দেশ থেকে ৩,৩০০ জন জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছে৷ মার্চ মাসে সেই সংখ্যাটি ৪৮০-তে দাঁড়িয়েছে৷ ২০১৫ সালে উত্তর আফ্রিকার ঐ তিন দেশ থেকে প্রায় ২৬ হাজার মানুষ জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছিল বলে জানায় বিএএমএফ৷ এর মধ্যে মাত্র ২.১ শতাংশের আবেদন গৃহীত হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷

জার্মান সংসদকে দেয়া এক প্রতিবেদনে বিএএমএফ জানায়, ‘‘জানুয়ারি মাসে নতুন আইন প্রণয়নের আলোচনা শুরু হওয়া মাত্রই (ঐ তিন দেশ থেকে) শরণার্থী আসার সংখ্যা ব্যাপকহারে কমতে শুরু করে৷''

জার্মানির মিডিয়া কোম্পানি ‘ফুঙ্কে'র সংবাদপত্রে বিএএমএফ-এর এসব তথ্য নিয়ে সোমবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷

Germany: North Africans under pressure

জনবলের অভাব

জার্মানির আরেক সংবাদপত্র ‘ডি ভেল্ট' জানিয়েছে, জার্মানিতে আসা শরণার্থীদের আবেদন যাচাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই বিএএমএফ-এর৷ আবেদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে দেশজুড়ে ৭ হাজার ৩০০ জন কর্মী নিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেয়া গেছে মাত্র ৫ হাজার জন৷ ফলে ডাক বিভাগ, সামরিক বাহিনী ও জাতীয় কর্মসংস্থান সংস্থা থেকে জনবল নিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে৷

২০১৫ সালে জার্মানিতে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী এসেছে৷

জেডএইচ/ডিজি (কেএনএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য