1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুসলিমদের নিয়ে গোলমাল

১০ আগস্ট ২০১৪

বন্দুক চালানোর প্রতিযোগিতা জিতে ‘মার্কসম্যান’ হয়েছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত এক জার্মান নাগরিক৷ কিন্তু মুসলিম হিসেবে ক্যাথলিক সংগঠনে তাঁর স্থান নিয়ে এখন জার্মানিতে চলছে তুমুল বিতর্ক৷ বিষয় – বৈষম্য বনাম ধর্মীয় সংগঠনের স্বাধীনতা৷

https://p.dw.com/p/1Crra
মিটবাট গেডিকছবি: picture-alliance/dpa

নামে শখের বন্দুক চালানোর ক্লাব৷ ভ্যার্ল নামের এক গ্রামেও তার শাখা আছে৷ সংগঠনের পোশাকি নাম ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ হিস্টরিক জার্মান শুটিং ব্রাদারহুডস'৷ বলা বাহুল্য, একমাত্র পুরুষরাই সদস্য হতে পারেন৷ শুধু শুটিং বা বন্দুক চালানোর মধ্যেই ক্লাবের কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ নেই৷ জার্মানির সনাতন ঐতিহ্য বজায় রাখা সংগঠনের মূল আদর্শ৷ নেপোলিয়ানের বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের পর সেই ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই সংগঠনের যাত্রা শুরু৷ সদস্যদের রয়েছে বাহারি ইউনিফর্ম৷ দেশজুড়ে প্রায় ১,৩০০ শাখা সংগঠনে এই মুহূর্তে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ৷

ঊনবিংশ শতাব্দীর জার্মানির ঐতিহ্যের মূল ভিত্তিই হলো খ্রিষ্টধর্ম – আরও ভালো করে বলতে গেলে ক্যাথলিক মূল্যবোধ৷ ফলে সেই ঐতিহ্য বহন করতে হলে ধর্মপ্রাণ খ্রিষ্টান হওয়াও জরুরি৷ স্থানীয় শাখার ‘মার্কসম্যান' হতে হলে তো বটেই৷ কিন্তু ভ্যার্ল গ্রামে সম্প্রতি লক্ষ্যভেদের প্রতিযোগিতায় ‘শ্যুৎসেনক্যোনিশ' হিসেবে জয়ী হয়েছেন মিটবাট গেডিক৷ বয়স ৩৩৷ তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক৷ সবচেয়ে বড় কথা, তিনি মুসলিম৷ তবে তাঁর স্ত্রী ক্যাথলিক৷ তাঁদের ৪ সন্তানও ক্যাথলিক ধর্ম পালন করে৷

এমন ‘অঘটন' দেখে কেন্দ্রীয় সংগঠনে ‘গেল গেল' রব উঠেছিল৷ প্রথমেই তারা গেডিক-এর কাছ থেকে এই সম্মান ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু গোটা ঘটনাটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক মানুষ সংগঠনের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তোলে৷ ফলে শেষ পর্যন্ত মূল সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসে সংগঠন একটি আপোশ করেছে৷ গেডিক ‘শ্যুৎসেনক্যোনিশ' হিসেবে স্বীকৃতি বজায় রাখতে পারবেন বটে, তবে সেই সম্মান সীমাবদ্ধ থাকবে নিজের গ্রামের মধ্যেই৷ তাছাড়া গোটা ঘটনাটিকে ব্যতিক্রম হিসেবেই দেখা হবে৷

জার্মানির ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গেডিক বলেন, ‘‘এই একবিংশ শতাব্দীতে এমন বিতর্ক আমার কাছে একেবারেই বোধগম্য নয়৷'' সমাজের বিভিন্ন অংশেও সেই একই মনোভাবের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে৷ অনেকে বলেছেন, যখন জার্মান সমাজের মূল স্রোতে মুসলিম সহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের আরও শামিল করার প্রচেষ্টা চলছে, তখন এমন বৈষম্যমূলক আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷

তবে ‘জার্মান শুটিং ব্রাদারহুডস'-এর কেন্দ্রীয় সংগঠন এমন যুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ তাদের মতে, কোনো সংগঠনের উপর জোর খাটিয়ে তার ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য

তুলে নেওয়া যায় না৷ মুসলিম, ইহুদি বা বৌদ্ধ সংগঠনেও জোর করে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ঢুকিয়ে দেওয়া যায় না৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য