1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রীড়াঙ্গনেও ম্যান্ডেলা

৭ ডিসেম্বর ২০১৩

নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ ফুটবল, ক্রিকেট, রাগবি, গলফ - বলতে গেলে সব খেলাতেই স্মরণীয় কিছু স্মৃতি রেখে গেছেন ম্যান্ডেলা৷ শোকবার্তায় তাই শ্রদ্ধার মাত্রাটাও খুব বেশি৷

https://p.dw.com/p/1AUSK
ছবি: AP

মানুষ হিসেবে, বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে তো এমনিতেই সবার মনেই উঁচু একটা স্থান রয়েছে ম্যান্ডেলার জন্য৷ বড় মাপের মানুষ আর নিখাদ ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবেই তাঁর প্রশংসাটা বেশি করছেন তারকা খেলোয়াড়রা৷ এমনিতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মতো খেলাধুলার বিশ্ব সংস্থাগুলোর শ্রদ্ধা নিবেদনকে আনুষ্ঠানিকতা মনে হলেও তারকাদের প্রতিক্রিয়াগুলো সত্যিই অন্যরকম৷ হেভিওয়েট বক্সিংয়ের জীবন্ত কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীর কাছে ম্যান্ডেলা চির অনুকরণীয় মানুষ৷ কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারে জন্ম নেয়ার কারণে জীবনের একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে৷ অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েই আলী হয়েছিলেন বিশ্বসেরা হেভিওয়েট বক্সার৷ ম্যান্ডেলার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এক ভাই আরেক ভাইয়ের রক্ষক - এটা তিনিই প্রথম আমাদের বুঝিয়েছিলেন৷ তিনি বুঝিয়েছিলেন সব বর্ণের মানুষের মধ্যেই আমাদের ভাই আছে৷''

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও নিজে কখনো শ্বেতাঙ্গদের, তাঁদের ভালো ঐতিহ্যকে কখনো অশ্রদ্ধা করেননি ম্যান্ডেলা৷ তাই ১৯৯৫ সালের রাগবি বিশ্বকাপ ফাইনালে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন এমন পোশাক পরে যে পোশাক আগে চিরকাল শ্বেতাঙ্গ রাগবিপ্রেমীরাই পরতেন৷ কিন্তু নিজের দেশের খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে সেই পোশাক পরে যখন ম্যান্ডেলা গ্যালারিতে এলেন দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের মাঝে যেন অদৃশ্য কোনো শক্তি ভর করলো৷ সেদিন বিশ্বকাপ জিতেই মাঠ ছেড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা৷

২০১০-এর ফুটবল বিশ্বকাপ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আফ্রিকার কোনো দেশকে বিশ্বকাপের আয়োজক করার পেছনেও অবদান রেখেছিলেন তিনি৷ নিজের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ দেখতে এসে ম্যান্ডেলার খুশি বাধা মানছিল না৷ ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার তাঁর শোকবার্তায় এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন খুব গুরুত্ব দিয়ে৷

বর্ণবাদের জন্য সারা বিশ্ব থেকে অনেকদিন বিচ্ছিন্ন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা৷ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সে দেশে প্রথম ক্রিকেট সিরিজ হয়েছিল ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে৷ সেই টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত৷ সিরিজের নাম দেয়া হয়েছিল ‘ফ্রেন্ডশিপ সিরিজ৷' সেই সিরিজে দু- দুবার ম্যান্ডেলার সঙ্গে দেখা এবং কথা হয়েছিল টেন্ডুলকারের৷ দিন দুটোর কথা স্মরণ করে টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘‘তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়া জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনাগুলোর একটি৷ তিনি ছিলেন দারুণ প্রেরণাদায়ী এক ব্যক্তিত্ব৷ আমার হৃদয়ে তিনি থাকবেন চিরকাল৷ ''

ইংল্যান্ড ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড বেকহাম, গলফের কিংবদন্তি টাইগার উডসও বলেছেন একই কথা৷ জানা-অজানা অনেক ক্রীড়াবিদের মনের আকাশেই এখন শোকের কালো মেঘ হয়ে ভাসছেন নেলসন ম্যান্ডেলা৷

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য