1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষুদ্র ঋণের ‘মডেল ভালো, কিন্তু প্রয়োগ ভুল’: জার্মান সংবাদপত্র

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বাংলাদেশের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ক্ষুদ্র ঋণকে ঘিরে চলমান বিতর্ক জার্মান সংবাদ মাধ্যমে এখনো চর্চার বিষয়৷

https://p.dw.com/p/10KfZ
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসছবি: AP

দৈনিক ‘ক্যোলনার স্টাট-আনসাইগার' এক বিশাল প্রতিবেদনে গোটা বিষয়টি তুলে ধরেছে, যার শিরোনাম – ‘মডেল ভালো, কিন্তু প্রয়োগ ভুল'৷ লেখক মন্তব্য করেছেন, ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ভবনটি দেখলে আগের মতো এখন আর আশার আলো জাগছে না৷ দারিদ্র নির্মূল করার অঙ্গীকার করে যিনি একদিন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ও নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তিনি নিজে ও তাঁর সৃষ্টি এখন বড় প্রশ্নের মুখে৷ নিজের দেশে অধ্যাপক ইউনূসকে আদালতে হাজির হতে হচ্ছে৷ দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে তীর্যক মন্তব্য করে আজ তিনি তাদেরই রোষের মুখে পড়েছেন৷ অধ্যাপক ইউনূসের সাবেক সহকারী মোজাম্মেল হককে উদ্ধৃত করে লেখক মন্তব্য করেছেন, যেই কেউ নিজেকে অপরিহার্য মনে করে, তখনই সমস্যা দেখা দেয়৷ অধ্যাপক ইউনূস সব সাফল্যের জন্য নিজেকে ছাড়া কাউকেই ‘ক্রেডিট' দিতে প্রস্তুত নন৷ মোজাম্মেল হক ইউনূস সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘মানুষটা ভালো, কিন্তু তাঁর হৃদয়টা ছোট৷''

‘ক্যোলনার স্টাট-আনসাইগার' তার জার্মান পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ইউনূস ও তাঁর কর্মজীবনের একটা খতিয়ান তুলে ধরে লিখেছে, ক্ষুদ্র ঋণের গোটা ধারণাটাই সংকটের মুখে পড়ে ঠিক সেই সময় থেকে, যখন সাধারণ ব্যাংকগুলিও ইউনূসের মডেল অনুসরণ করতে শুরু করে৷ দারিদ্র নির্মূল করতে নয়, নিজেদের ব্যবসা বাড়াতেই তারা এই পথে চলতে শুরু করে৷ ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা চড়া সুদ বেঁধে দিয়ে থাকে৷ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যে এই ব্যবসার ভয়াবহ পরিণতি দেখা যাচ্ছে৷ অসংখ্য কৃষক চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণের বোঝায় বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে৷ বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সাফল্য দেখাতে পেরেছে, ভারতে তার একেবারে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে৷ সেখানে মাত্র কুড়ি শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ ফেরত পাচ্ছে৷ এই পরিস্থিতির সঙ্গে অ্যামেরিকার গৃহঋণ সংকটের কিছুটা তুলনা করা যেতে পারে৷ বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক মূলত নারীদের হাতে ঋণের টাকা তুলে দিয়ে সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে যে দায়িত্বজ্ঞান গড়ে তুলতে পেরেছে, শুধু ব্যবসার খাতিরে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার সময় সেসব বিবেচনা করা হয় না৷ অধ্যাপক ইউনূস নিজে বলেছিলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ঋণের এই ধারণার মূল উদ্দেশ্যই বহলো মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের হাত থেকে দরিদ্র মানুষদের রক্ষা করা৷'' অথচ আজ সেই আদর্শকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলি ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসা শুরু করেছে – মন্তব্য করেছে ‘ক্যোলনার স্টাট-আনসাইগার'৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান