‘কয়েকটা ব্লগার মরলে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না' | পাঠক ভাবনা | DW | 12.08.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘কয়েকটা ব্লগার মরলে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না'

চলতি বছর বাংলাদেশে খুন হয়েছেন চারজন ব্লগার৷ অনেকের দাবি, হাসিনা সরকার ব্লগারদের রক্ষায় সচেষ্ট নয়৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধুরা এর পক্ষে-বিপক্ষে নানাভাবে তাঁদের মত প্রকাশ করেছেন আমাদের ফেসবুক পাতায়৷

পাঠক এম রহমান মনে করেন, ব্লগারদের নিজের দোষেই মৃত্যু হয়েছে৷ তাই তিনি শেখ হাসিনাকে দোষ দিতে রাজি নন৷ তবে তিনি এ কথাও লিখেছেন, শেখ হাসিনার অন্তত ব্লগারদের সাবধান করে দেওয়া উচিত ছিল যাতে তারা ধর্মে আঘাত না করে৷

ফেসবুক বন্ধু মেহেদী হাসান বেশ মজা করে লিখেছেন, ‘‘আপনারা পাগল হইছেন৷ এত সাহস পান কিভাবে৷ তিনি আমাদের দেশমাতা, আমাদের প্রধান লিডার, তাঁকে নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করার ইচ্ছা আমাদের নাই৷''

বিদেশি সাহায্য সম্পর্কে সচেতন আবদুল্লাহেল ফরিদ৷ তাঁর ভয় ব্লগার হত্যার কারণে বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ আর সে'কথা তিনি জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘ব্লগার হত্যার কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক৷ নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারলে ভবিষ্যতে ধনী দেশ বা সংগঠন থেকে ‘সাপোর্ট' পাওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে৷''

মৃগাঙ্ক দে ব্যাঙ্গ করে জানিয়েছেন, ‘‘শেখ হাসিনার অনেক কাজ আছে৷ কয়েকটা ব্লগার মরলে উনার কিছু যায় আসে না৷ ব্লগারদের অনেকেই হিন্দু আর উনি হিন্দু খুন সমর্থন করেন৷''

শাফ জেট বলছেন, ‘‘আসল কথা হলো শেখ হাসিনা নিজেই ব্লগার তৈরি করছে৷ রাজীব হায়দারদের মাধ্যমে শাহাবাগে ফ্রি বিরিয়ানি দিয়ে৷'' তবে ফেসবুক বন্ধু শাফ জেট যদি ব্যাপারটি একটু খুলে লিখতেন, তাহলে হয়ত সবার বুঝতে সুবিধা হতো৷

মো. জাহিদ হোসেনের মতে, জনগণকে কিভাবে দেখাশোনা করতে হয় তা নাকি শেখ হাসিনা জানেনই না৷

অন্যদিকে ডয়চে ভেলের পুরনো বন্ধু অসিত কুমার দাস মিন্টু হাসিনা সরকারকে সমর্থন করে বলছেন, ‘‘বর্তমান সরকার ব্লগারদের রক্ষায় অবশ্যই চেষ্টা করে, তবে হত্যাকারীদের ধরতে সময় লাগবে৷''

ধর্মপ্রাণ আজমান হোসেন টুটুলের মন্তব্য, ‘‘কোনো মতামত দিতে চাই না, শুধু বলতে চাই ইসলাম ধর্মকে অনেক ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি৷ তাই অনুরোধ রইলো, কেউ ধর্ম নিয়ে কোনো খারাপ কিছু লিখবেন না৷''

‘‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এবং গণতান্ত্রিক সরকারের প্রয়োজন৷'' ছদ্মনামে খবরের পাতা লিখেছেন এ কথা৷ তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘‘শুধু ব্লগার নয়, আমাদের দেশে আরোও অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত৷''

শান্তনু পালও ঠিক তাই মনে করেন৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘আইনের শাসন থাকলে এমন হতো না৷''

কবির শহরিয়ার বলছেন, ‘‘শেখ হাসিনা পুরো দেশ চালাতে ব্যর্থ৷''

মোহাম্মাদ আবুল হাসানের মতে, সরকারের নাকি এ সব দেখার সময় নেই৷

হাসিনা সরকার ব্লগারদের রক্ষায় সচেষ্ট নয় – এ বিষয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় আবু আহসানের মন্তব্য, ‘‘হাসিনা নিজেই খুনি, কাকে রক্ষা করবে?''

ব্লগারদের স্ব-আরোপিত ‘সেন্সরশিপ'-এর দিকে ঠেলে না দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে বাকস্বাধীনতার পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই উদাহরণটি দিয়ে ছদ্মনামে বাংলাদেশ সমিতি একজন সচেতন নাগরিকের মতোই লিখেছেন, ‘‘একটা স্বাধীন দেশের প্রত্যেকের বাকস্বাধীনতা থাকা সংবিধানের প্রধান ধারা৷ সরকারের উচিত আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে আমাদের মানষিক চিন্তা-চেতনার উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করা৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন