খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য দশ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা
১২ নভেম্বর ২০১০দেশের জনসংখ্যার ছয় কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে৷ এর মধ্যে দুই কোটি লোক হতদরিদ্র৷ তাদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা একটি বড় বিষয়৷ এই দারিদ্র্যের শিকার প্রধানত নারী ও শিশু৷ প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷ তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ আগামী পাঁচ বছরে এই খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনয়োগ করা হবে৷ এর মধ্যে তিন বিলিয়ন ডলার সরকারের কাছে রয়েছে৷ বাকি সাত বিলিয়ন ডলার দাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে৷ এই জন্য খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রজ্জাক দাতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক শুরু করছেন৷ ইউএসএআইডি অবশ্য বৈঠকে সরকারের এই পরিকল্পনাকে কিছুটা উচ্চাভিলাষী বলে মন্তব্য করেছে, জানান খাদ্যমন্ত্রী৷ তারা অগ্রাধিকার খাত ভিত্তিক পরিকল্পনার কথা বলেছে৷
খাদ্যমন্ত্রী জানান, খাদ্য মজুদ ও বাজারজাত করাসহ ১০টি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে পরিকল্পনায়৷ তিনি জানান, ২০১২ সালের মধ্যে দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় বাংলাদেশ৷ ২০১৭ সালের মধ্যে সহস্রাব্দের আটটি লক্ষ্যমাত্রাই অর্জন করতে চায় সরকার৷ অগ্রাধিকারের তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন সাপেক্ষে দাতারা সহায়তা করতে রাজী আছেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী৷
জানুয়ারি মাসে কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা সিআইপি নিয়ে ঢাকায় দাতাদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে৷ সেই বৈঠকের পরই সিআইপি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম