খাবার গ্রহণে অ্যালার্জি
লোভনীয় সব খাবার দেখলে কারই বা খেতে ইচ্ছে না করে? তবে সেসব খাবার খেতে মন চাইলেও অনেকের শরীর তা গ্রহণ করে না বা সেসব খাবারে তাদের অ্যালার্জি হয়৷ এ নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
খাওয়া কি শুধু জীবন ধারণের জন্য?
খাওয়া ছাড়া যেমন কোনোভাবেই মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি মানুষ যে শুধু বেঁচে থাকার জন্য খায় সেটাও নয়৷ জীবন ধারণ করা ছাড়াও নানারকম মজার মজার খাবার মানুষ উপভোগ করতে চায়৷ কিন্তু সেটা যে সবার পক্ষে সম্ভব নয়৷ কারণ অনেক মানুষেরই রয়েছে বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি৷
বাদাম, ফল এবং ল্যাকটোজ
চকলেট, আপেল কিংবা দই, যাই হোক না কেন শতকরা ১৭ জন জার্মান এসব খাবার উপভোগ করতে পারে না৷ অর্থাৎ এসব খাবারের অন্তত একটিতে হলেও তাদের অ্যালার্জি আছে৷ এক সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য৷ জার্মানির স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি টেকনিকার জানিয়েছে, যাদের খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা ২০ জন বাদাম, ২৯ জন বিভিন্ন ফল এবং ২৫ জন ল্যাকটোজ সহ্য করতে পারে না৷
শিক্ষিতদেরই বেশি অ্যালার্জি
একটি ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে, শিক্ষার হার যত বেশি, অ্যালার্জি রোগীর সংখ্যাও তত বেশি! না, অবাক হবেন না৷ কথাটার মানে হলো, শিক্ষিত ও সচেতন মানুষরাই ডাক্তারের কাছে যেয়ে বুঝিয়ে বলতে পারেন এবং এসব বিষয়ে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন তাদের অ্যালার্জি থাকার কথা, বলেন জার্মানির পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিকল বাটেনফেল্ড৷ কম শিক্ষিত মানুষ বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না বা ডাক্তারের কাছে যায় না৷
অ্যালার্জি টেস্ট
কোন খাবারে কার কতটুকু অ্যালার্জি আছে সেসব পরীক্ষা করারও রয়েছে নানা নিয়মকানুন৷ কোন খাবারে কতটা অ্যালার্জি সেটার ওপর নির্ভর করে রোগীর শারীরিক সুস্থতা৷ অনেকের বেলায় দেখা যায় শারীরিকভাবে একজন মানুষ যতটা অসুস্থ, সে পছন্দের খাবার না খেতে পেয়ে মানসিকভাবে তার চেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷
দুধের অ্যালার্জি
ফলমূল বা দুধে ছোটবড় অনেকেরই অ্যালার্জি দেখা দেয়৷ কেউ হয়ত শুধু দুধ খেতে পারে না, কিন্তু দুধে তৈরি বা রান্না করা খাবার ঠিকই খেতে পারে৷ নিকল বাটেনফেল্ড বলেন, যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের অবশ্যই বুঝেশুনে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়া উচিত৷ তাছাড়া ল্যাকটোজ ফ্রি খাবারও পাওয়া যায়৷
ফল বা সবজি
ফল বা সবজির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য, কারণ কেউ হয়তো কাঁচা ফল খেলে অসুস্থ বোধ করেন৷ কিন্তু একই ফল সেদ্ধ বা অন্য কিছুর সাথে মিশিয়ে খেলে হয়ত অসুবিধা হয় না৷
ডাক্তারের পরামর্শ
কারো অ্যালার্জি আছে কিনা সবসময়ই তা অ্যালার্জি টেস্টে ধরা পড়বে তেমন নয়, বিশেষ করে খাবারের ব্যাপারে৷ খাওয়ার পর অনেকের শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, আবার কারো বেলায় ওপর দিয়ে কিছুই বোঝা যায় না৷ আর সেটাই ভয়ের কারণ৷ তাই, যদি কেউ কিছু খাওয়ার পর ভালো বোধ না করে বা একেবারে সহ্য না হয় তাহলে তার সেটা না খাওয়াই উচিত৷ কারণ সেক্ষেত্রে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷ বিষয়টাকে মোটেই হালকাভবে নেওয়া ঠিক নয়৷
তৈরি বা রেডিমেড খাবার
তৈরি খাবার বা ফাস্টফুড-এ ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভ বা সংরক্ষক, যা অনেকের শরীরেই সহ্য হয় না বা অ্যালার্জি হয়৷ ফাস্টফুড খেতে তরুণ প্রজন্ম খুবই আগ্রহী৷ তাই এদিকেও নজর দেওয়া উচিত৷ তৈরি খাবার শুধু ওজনই বাড়ায় না শরীরে অন্যান্য সমস্যাও দেখা দেয়৷