1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদার অবসর নেয়ার সময়?

২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেমন ফেসবুক, টুইটার এবং ব্লগে আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷ এদিকে, মন্তব্য প্রত্যাহার করতে খালেদাকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1HSNr
Bangladesch Khaleda Zia vor dem Gericht in Dhaka
ছবি: M. uz Zaman/AFP/Getty Images

সোমবার ঢাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহিদ হয়েছে৷ এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে৷''

মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহিদ হয়েছেন সে বিষয়ে ২০১৩ সালে সামহয়্যার ইন ব্লগে একটি ব্লগ লিখেছিলেন পিনাকী ভট্টাচার্য৷ সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর জে রুমেল এর একটি বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বইতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষের শহিদ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ আছে৷ ‘‘... বইটিতে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভিয়েতনাম যুদ্ধ পর্যন্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক যুদ্ধের পরিসংখ্যান দেয়া আছে এবং এই বইটি একটা বিশ্বব্যাপী গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক রেফারেন্স'', বলেন পিনাকী৷

খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগ৷ দলটির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে চারটি ছবি সহ একটি টুইট করা হয়েছে৷ ছবিগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহিদের সংখ্যা নিয়ে কোথায়, কী বলা হয়েছে সেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে৷ আওয়ামী লীগ মনে করছে, শহিদের সংখ্যা নিয়ে পাকিস্তানের যে অবস্থান, খালেদাও সেই অবস্থান নিয়েছেন৷

একটি বেসরকারি চ্যানেলের প্রধান বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু মনে করছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘যে-কোনো কিছুরই একটি স্বাভাবিক পরিসমাপ্তি আছে৷ ওই স্বাভাবিকতা মেনে না চললে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়৷ আমার মনে হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে...৷''

ইফতেখার মোহাম্মদ খালেদা জিয়ার বক্তব্যের ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে কুতর্ক করে খালেদা প্রমাণ দিলেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ নন৷ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলে কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নাই, কারণ এরা খালেদার এই বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ করেনি৷ রাজাকারের গাড়িতে যেমন পতাকা দিয়েছেন খালেদা, ঠিক তেমনি আগামীতে সুযোগ পেলে মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বিলিন করে দিবেন৷'' কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা খালেদার সমর্থনে থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন ইফতেখার৷

শওগাত আলী সাগর অবশ্য খালেদা জিয়ার কথায় বিস্মিত হননি৷ কারণ তিনি মনে করেন, খালেদা জিয়া যে রাজনীতি করেন, যে আদর্শের রাজনীতি করেন – সেখানে মুক্তিযুদ্ধটাই ‘বিতর্কিত' বিষয়৷ ‘‘আজ তিনি বলেছেন, শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে, আগামীকাল বলবেন – ইউ নো হোয়াট, মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই আসলে বিতর্ক আছে'', ফেসবুকে লিখেছেন সাগর৷

খালেদা জিয়া কেন এমন মন্তব্য করলেন সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না জাহিদুল হক৷

তবে খালেদার বক্তব্য নিয়ে আবেগ দিয়ে তর্ক করার পক্ষে নন তারেক মোরতাজা৷ তিনি লিখেছেন, সংখ্যাভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর আবেগ নয়, সংখ্যা দিয়েই দেওয়া উচিত৷ মোরতাজা মনে করেন, এতদিনে শহিদদের তালিকা তৈরি করা গেলে কেউ এটি নিয়ে কথা বলতে পারত না৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

আপনার কী মনে হয় বন্ধু? খালেদা জিয়ার কি অবসর নেয়া উচিত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান