খালেদার আন্দোলন, জয়ের চমক
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভাগীয় শহরগুলো সফর এবং জনসভা শুরু করেন ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে৷ তারই অংশ হিসেবে তিনি এখন উত্তরবঙ্গ সফর করছেন৷ রবিবার রংপুরের জনসভায় তিনি চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ তিনি রংপুরের জনসভায় বলেছেন, ভোট চাইতে নয়, তিনি ভোট রুখতে মাঠে নেমেছেন৷ আওয়ামী লীগকে রুখতেই হবে৷ এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবেনা৷ নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে৷ আর সেই ব্যবস্থা যদি ফিরিয়ে আনা না হয়, তাহলে ২৫শে অক্টোবরের পর থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে বলে জানান তিনি৷ সেই আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা হবে৷ খালেদা জিয়ার দেশব্যাপী এই সফর শেষ হবে ৫ই অক্টোবর৷
এদিকে ২৪শে অক্টোবর শেষ হচ্ছে ৯ম জাতীয় সংসদের অধিবেশন৷ তবে সংসদ বহাল থাকছে৷ আর সংসদ বহাল রেখেই ২৪শে জানুয়ারির মধ্যে সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচারণা ছাড়াও নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন৷ আর চমক হল এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চাইতে সারা দেশ সফর শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়৷ তিনি রবিবার ময়মনসিংহ সফর করেছেন৷ ময়মনসিংহ যাবার পথে টঙ্গিসহ কয়েকটি এলাকায় পথসভায় বক্তৃতা দিয়েছেন৷ তিনি ময়মনসিংহের সমাবেশে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে দেশ অন্ধকারের দিকে যাবে৷ তিনি সরকারের উন্নয়নের নানা তথ্য জানিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় ভোট চান৷ জানা গেছে, ধারাবাহিকভাবে সারা দেশ সফর করবেন সজীব ওয়াজেদ জয়৷
খালেদার চূড়ান্ত আন্দোলন আর জয়ের নির্বাচনী প্রচারণার চমকে নতুনত্ব থাকলেও আশার কোন আলো দেখছেন না বিশ্লেষকরা৷ সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, এতে দ্বন্দ্ব আর সংঘাত বাড়বে৷ দেশে এখন নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংকট চলছে৷ প্রধান দুই দল দুই মেরুতে অবস্থান করছে৷ আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে তাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব৷ এখন যে পরিস্থিতি তাতে সংকট এবং দ্বন্দ্ব আরো বাড়বে ছাড়া কমবেনা৷ তিনি আরও বলেন, অনড় অবস্থানে না থেকে দুই দলকেই ছাড় দিয়ে এখন সমঝোতায় আসা উচিত৷ নয়তো কারো ভাবষ্যতই ভাল হবেনা৷ দেশে সংঘাত শুরু হলে তা থেকে কেউই রেহাই পাবেন না৷