1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চোয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট নিয়ে করা দু-দু'টি দুর্নীতির মামলা আদৌ চলবে কিনা – সেটা জানা যাবে আগামী রবিবার৷

https://p.dw.com/p/1DAOg
Bangladesch Khaleda Zia vor den Wahlen
(ফাইল ফটো)ছবি: DW/M. Mamun

গত ১৯শে মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দু'টিতে অভিযোগ গঠন করে বিশেষ জজ আদালত-৩৷ এ দুটি মামলায় বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১২ই মে হাইকোর্টে দু'টি রিট করেন খালেদা জিয়া৷ ২৫শে মে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দেয়৷ ফলে নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চে পাঠানো হয়৷ ১৯শে জুন ঐ বেঞ্চ খালেদার রিট দুটি খারিজ করে৷ এরপর খারিজ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে দুটি আবেদন করেন খালেদা জিয়া৷

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি শেষে আগামী রবিবার রায়ের দিন ধার্য করে৷ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান৷ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘‘আমরা আশাকরি খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ করা হবে৷ রায় তাঁর পক্ষে যাবে৷''

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম৷ আর দুদক-এর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান৷ খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘‘এই মামলার বিচারকাজ স্থগিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷''

জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক৷ মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়৷ ২০০৯ সালের ৫ই আগস্ট খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছ'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক৷ অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান৷

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয় ২০১১ সালের ৮ই আগস্ট তেজগাঁও থানায়৷ এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডাব্লিউটি-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান৷ হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক৷ ২০১২ সালের ১৬ই জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক৷

এই দুটি মামলায়ই অভিযোগ গঠন এবং বিচার শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু খালেদা জিয়া সুপ্রিম কোর্টে মামলা দু'টি স্থগিতের আবেদন করার পর, আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলা দু'টির বিচার স্থগিত আছে৷ রবিবার রায়ের মধ্য দিয়ে মামলা দু'টির ভবিষ্যত্‍ জানা যাবে৷ যদি খালেদার আবেদন খারিজ হয়, তাহলে এক বছরের মধ্যেই বিচারিক আদালত থেকে মামলা দু'টির রায় পাওয়া যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা৷

উল্লেখ্য, এ দু'টিসহ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে৷ এছাড়া তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৭টি ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে৷ তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানও স্বামীর সঙ্গে দুদক-এর একটি মামলার আসামি৷

Bangladesch Khaleda Zia vor den Wahlen
খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতেই মামলা দু'টিতে অভিযোগ গঠন করে বিশেষ জজ আদালত-৩ছবি: DW/M. Mamun
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য