1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুঁজে পাওয়া গেল দুর্লভ কিছু নির্বাক ছবির ফিল্ম

৮ জুন ২০১০

নির্বাক ছবির যুগ শেষ হয়েছে সেই কবে, কিন্তু সিনেমা জগতের শুরুটা হয়েছিল এই নির্বাক ছবির মাধ্যমেই৷ হলিউডের সেই যুগের কিছু দুর্লভ নির্বাক ছবির ফিল্ম সম্প্রতি পাওয়া গেছে নিউজিল্যান্ডের চলচ্চিত্র আর্কাইভে৷

https://p.dw.com/p/NlFz
ছবি: AP

কিন্তু এসব ছবির ফিল্ম এতদূর পর্যন্ত গেল কিভাবে ? জানা গেছে, বিগত শতাব্দীর বিশের দশকে নির্মিত এসব ছবির ফিল্মগুলো প্রদর্শণীর জন্য পাঠানো হয়েছিল নিউজিল্যান্ডে৷ ওইসময় ঠিকঠাকভাবেই পৌঁছেছিল এসব ফিল্ম৷ কিন্তু সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর বেলায় বাধে বিপত্তি৷ কর্তৃপক্ষ দেখে যে জাহাজে করে এসব ফিল্ম সেই সুদূর মার্কিন মুল্লুকে ফেরত পাঠাতে গেলে অনেক খরচ লেগে যাবে৷ তাই আর সেসব ফিল্ম পাঠানো হয়নি, সেগুলো রয়ে যায় নিউজিল্যান্ডে৷ এর কয়েক বছর পর শুরু হয় সবাক ছবির যুগ৷ সবাক ছবির ভীড়ে এইসব নির্বাক ছবির কথাও ভুলে যায় সকলে৷ দীর্ঘ প্রায় ৯০ বছর পর সেগুলো আবারও উদ্ধার করা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের চলচ্চিত্র আর্কাইভে পড়ে থাকা স্তুপ থেকে৷ লস এঞ্জেলেসের অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার্স আর্টস এর ব্রায়ান মিক্যাম বলেন, খুঁজে পাওয়া এসব ফিল্মের মধ্যে কিছু রয়েছে যেগুলো সত্যিই দুর্লভ৷ যেমন ১৯২৭ সালে বিখ্যাত পরিচালক জন ফোর্ডের নির্মিত আপস্ট্রিম ছবিটি৷ আরও রয়েছে বিশের দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী ক্লারা বো অভিনীত নির্বাক ছবি৷ তবে এসব ফিল্ম খুঁজে পাওয়া গেলেও সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত দেওয়ার কথা জানায়নি নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ৷


স্টিগ লারসেনের অপ্রকাশিত লেখার খোঁজ

বিখ্যাত থ্রিলার কাহিনী মিলেনিয়াম এর লেখক স্টিগ লারসনের তরুণ বয়সে লেখা কিছু পান্ডুলিপি পাওয়া গেছে সম্প্রতি৷ সুইডেনের ন্যাশনাল লাইব্রেরি এইসব পান্ডুলিপি পাওয়ার কথা জানিয়েছে৷ এইসব পান্ডুলিপি কখনো প্রকাশিত হয়নি৷ ন্যাশনাল লাইব্রেরির কর্মকর্তা মাগডালেনা গ্রাম জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালের দিকে যখন স্টিগ লারসেনের বয়স ছিল ১৭ তখন এইসব লেখা লিখেছিলেন তিনি৷ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ভিত্তিক এই সব কাহিনী তিনি একটি ম্যাগাজিনে ছাপা হওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন৷ তবে তা ছাপা হয়নি৷ এখন সেগুলো প্রকাশ করা হবে কিনা তা লারসনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন মাগডালেনা গ্রাম৷

উল্লেখ্য, স্টিভ লারসনের লেখা বিখ্যাত সিরিজ মিলেনিয়াম এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে৷ তবে দুঃখের কথা হলো, ২০০৫ সালে এই সিরিজ প্রকাশিত হলেও তা দেখে যেতে পারেননি তিনি৷ ২০০৪ সালের নভেম্বরে আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাত্র ৫০ বছর বয়সে মারা যান এই প্রতিভাবান সুইডিশ লেখক৷

প্রতিবেদন : রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ