1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুদে উদ্ভাবক

২ আগস্ট ২০১৩

ছোট বয়সেই বৈজ্ঞানিক প্রতিভার বিকাশ ঘটলে তা কাজে লাগানো উচিত৷ জার্মানির এক কর্মসূচি এই কাজে প্রবল উৎসাহ দিয়ে থাকে৷ এমন সুযোগ পেয়ে ভবিষ্যতে তা কাজে লাগানোর পথ খুলে যায়৷

https://p.dw.com/p/19HoN
ছবি: Stiftung Jugend forscht e. V.

ড্রোন উড়ালের জন্য প্রস্তুত৷ সেটি একটি ক্যামেরাকে বায়ার লেভারকুজেন দলের ফুটবল স্টেডিয়ামের মাথার উপরে নিয়ে যাবে৷ সেখান থেকে দারুণ দৃশ্য! মাক্সিমিলিয়ান রাইফ ও মিশায়েল স্টার্ক-এর তৈরি এই ড্রোনটির নাম সেফকপ্টার৷ এটি নিজেই ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা বুঝে বিপদ এড়িয়ে যেতে পারে৷ ১৮ বছর বয়সি মাক্সিমিলিয়ান রাইফ বলেন, ‘‘ড্রোনটা জিপিএস দিয়ে সারাক্ষণ নিজেই নিজের অবস্থান নির্ণয় করে আর তার কম্পিউটারে যে সব বাধা বা প্রতিবন্ধকতার তথ্য দেওয়া আছে, তা নিজে থেকেই এড়িয়ে যায়৷ এ ভাবে কোয়াডকপ্টারগুলো নিজের থেকেই বাধা এড়াতে আর অ্যাক্সিডেন্ট আটকাতে পারে৷''

দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম এই ড্রোনটি হলো খুদে উদ্ভাবকদের প্রতিযোগিতার জন্য মাক্সিমিলিয়ান ও মিশায়েলের অষ্টম প্রকল্প৷ তরুণ গবেষকদের মধ্যে তারা অভিজ্ঞতায় রীতিমতো প্রবীণ৷

Jugend Forscht 2013 Bundessieger Technik
পুরস্কার হাতে মাক্সিমিলিয়ান রাইফ ও মিশায়েল স্টার্কছবি: Stiftung Jugend forscht e. V.

‘তরুণ গবেষক' প্রতিযোগিতার মাধ্যমেই পরস্পরের সঙ্গে পরিচয়৷ আর তা থেকেই এই নতুন প্রকল্পের জন্ম, যা তারা এখন লেভারকুজেনে প্রদর্শন করছে৷ মিশায়েল বলেন, ‘‘কোয়াডকপ্টার তৈরির একাধিক পর্যায় আছে৷ আমরা প্রথমে সিএডি, অর্থাৎ কম্পিউটার এইডেড প্রোগ্রামের সাহায্যে প্রতিটি পর্যায় ছকে নিয়েছি, যা সার্কিটের নক্সা স্থির করে৷ তারপর তৈরি হয়েছে থ্রি-ডি বা ত্রিমাত্রিক মডেল, যাতে ভুলত্রুটি আগেই ধরা পড়ে৷ পরে অংশগুলো বাসায় কেটে স্ক্রু দিয়ে জোড়া দিয়েছি৷ এখন সেটা এরকম দেখাচ্ছে৷''

‘ইউগেন্ড ফর্শ্ট' বা ‘তরুণ গবেষক' হলো খুদে উদ্ভাবকদের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা৷ ১৯৬৫ সালে এই প্রতিযোগিতার সৃষ্টি৷ এ বছর যে বিষয়গুলি গুরুত্ব পাচ্ছে, সেগুলি হল: জলবায়ু, পরিবেশ আর পরিবেশ সংরক্ষণ৷

বাভারিয়ার এক স্কুলের ছাত্র ইয়াকব ব্রাউন প্রকৃতি-পরিবেশ নয়, নিজের ছোট ভাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে চেয়েছিল৷ তাই সে ছোটদের বাইসাইকেলের জন্য দূর থেকে রেডিও-কন্ট্রোল্ড একটি ব্রেক সৃষ্টি করে – বাবা-মা-র স্মার্টফোন থেকেই সে ব্রেক অ্যাপ্লাই করা যায়৷ ১৬ বছর বয়সি ইয়াকব ব্রাউন বলেন, ‘‘আমি আমার পাঁচ বছর বয়সি ছোট ভাইয়ের সঙ্গে জঙ্গলে হাঁটতে গিয়েছিলাম৷ তারপর আমরা একটা চড়া জায়গায় এলাম৷ ওর সাইকেলটা তখন ক্রমেই আরো স্পিডে নীচের দিকে নামতে থাকে৷ শেষমেষ ও ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়৷ তখন আমি ভাবলাম, আমি ওপর থেকেই যদি ওর সাইকেলের ব্রেকটা টানতে পারতাম!''

ইয়াকব তার আবিষ্কার বিক্রি করতে পারবে না, কেননা পেটেন্ট নেওয়ার খরচ অনেক৷ তবে তরুণ গবেষকদের এই প্রতিযোগিতায় আসাটাই ভবিষ্যতে ওকে সুযোগ করে দিতে পারে৷

এসি / এসবি