1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুদে বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক আসরে সেরা ভারতীয় কিশোর

২৯ মে ২০১১

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর দেশের তরুণদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, ভারত এবং চীনা তরুণদের মোকাবিলা করার দক্ষতা নিয়ে এগুতে হবে তাদের৷ ওবামার সেই সতর্কবাণীর যথার্থতা প্রমাণ করল রঘভেন্দ্র রামাচান্দেরান৷

https://p.dw.com/p/11QBJ
ছবি: AP

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের শহর চেন্নাইয়ের সেইন্ট জনস ইন্টারন্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের ছাত্র রামাচান্দেরান৷ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ক বিশ্বের বৃহত্তম গবেষণা প্রতিযোগিতায় তার গবেষণা সাফল্যের স্বীকৃতি পেল৷ রসায়নে সে হয়েছে সেরা খুদে বিজ্ঞানী৷ ইন্টেল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল মেলায় তার নতুন ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য পাঁচ হাজার ডলার মূল্যের পদক জয় করল রামাচান্দেরান৷ একইসাথে তার এই সাফল্যের জন্য তার স্কুলও পাবে এক হাজার ডলারের অনুদান৷ রামাচান্দেরানের গবেষণা কাজের সাফল্য সূত্র ধরে ক্যান্সার, ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক বিরোধী ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এছাড়া এই বিজ্ঞান আসরের মোট ১৭টি শাখায় সেরা পদকের মধ্যে আরো দু'টি পদক জিতেছে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোর৷ তারা হলো ফোর্ট গ্র্যাটিওটের নিথিন রেড্ডি টুমা এবং ডায়ারের নাথান কন্ডামুরি৷ কোষবিদ্যা ও আণবিক জীববিজ্ঞানের শাখায় টুমা এবং জ্বালানি ও পরিবহন শাখায় সেরা খুদে বিজ্ঞানী হিসেবে মনোনীত হলো কন্ডামুরি৷ পোর্ট হারোন নর্দার্ন হাই স্কুলের শিক্ষার্থী টুমা এই প্রতিযোগিতায় হাজির করেছিল তার নতুন সাইটোক্রোম পি৪৫০ ২ই১ রেগুলেশন মেকানিজমস৷ আর মুন্সটার হাই স্কুলের ছাত্র ১৬ বছর বয়সি কন্ডামুরি নিয়ে এসেছিল তার উদ্ভাবিত নতুন বিশেষ ধরণের বায়োফুয়েল সেল৷

লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত এই আসরে সারা বিশ্বের দেড় হাজারেরও বেশি কিশোর উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও খুদে বিজ্ঞানী অংশ নিয়েছিল৷ তাদের মধ্যে ৬৫ টি দেশের প্রায় ৪০০ প্রতিযোগী উঠে এসেছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা