1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণআয়োজনে ঘর বাঁধলো কয়েক হাজার জুটি

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১

এক স্বর্গীয় বন্ধনে আবদ্ধ হবে যুবক-যুবতী, এমনটাই চায় ধর্ম৷ বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার ধর্মভীরু সমাজে একমাত্র বিয়েই প্রাপ্তবয়স্কের সম্পর্ককে বৈধতা দেয়৷ কিন্তু অনেকের বিয়ের সাধ থাকলেও সাধ্যটা থাকে না৷

https://p.dw.com/p/109fO
ভারতে বিয়ে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance / KPA / Franken

সেই অসাধ্যদের জন্য আয়োজন গণবিয়ের৷ ভেন্যু ভারতের মধ্যপ্রদেশের আমরাবতি৷ সেখানে বুধবার একসঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ৩,৬০০ জুটি৷ খোলা আকাশের নিচে সাজানো মঞ্চে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা৷

বিবাহিতের তালিকায় ২,৪৩৩ হিন্দু, ১৫০ মুসলিম, ৭৪৯ বৌদ্ধ আর ১৫ খ্রিষ্টান দম্পতি ছাড়াও ছিল ২৫৩ আদিবাসী জুটি৷ এদের অধিকাংশের পরিবার ঋণের দায়ে জর্জরিত৷ তাছাড়া খরাও কেড়ে নিয়েছে ফসল৷ তাই বিয়ে এক অসাধ্য স্বপ্ন ছিল এই জুটিদের৷ গণ আয়োজনে প্রতিবন্ধী এবং বামন জুটিরাও ঘর বাঁধার সুযোগ পেয়েছেন৷

ইউনিফিকেশন চার্চ এই গণবিয়ের আয়োজক৷ চার্চটি ষাটের দশক থেকেই এধরনের বিয়ে পরিচালনা করছে৷ এর মুখপাত্র আমোল চাওয়ান জানান, জুটিদের বিবাহ আইনসম্মতভাবে নথিভুক্ত হয়েছে৷ স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে সহায়তা করেছে৷

বুধবার বিয়ের আয়োজনস্থলে ছিল দেখার মতো ভিড়৷ বিবাহিচ্ছু তরুণীরা নানা রংয়ের শাড়ী পরে উৎসবস্থলে হাজির হন৷ অন্যদিকে পুরুষের পোশাক ছিল স্যুট-টাই৷ কেউ কেউ অবশ্য ভারতের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকেও হাজির হন৷ সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে৷

বলাবাহুল্য, এমন এক সময় এই বিয়ের আয়োজন করা হলো যখন ভারতের কৃষকদের মধ্যে নানা হতাশা চলছে৷ বিশেষত ঋণের বোঝা আর খরা ভারতের দুর্গম অঞ্চলের কৃষকদেরকে ব্যাপক সমস্যায় ফেলেছে৷ গণবিয়েতে অংশ নেওয়া প্রায় এক হাজার জুটি এসেছে কৃষক পরিবার থেকে৷ এদের অন্তত অর্ধেক জুটির অভিভাবকরা ঋণের দায়ে বিভিন্ন সময়ে আত্মহত্যা করেছে৷

উল্লেখ্য, ভারতে গণবিয়ের আয়োজন নতুন নয়৷ অতিদরিদ্ররা বিয়ের খরচ বাঁচানোর আশায় এধরনের আয়োজনে যোগ দেন৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই