গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ির দরকার কী? | পাঠক ভাবনা | DW | 30.10.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ির দরকার কী?

‘ভারতে অনেক হিন্দুও গরুর মাংস খান' এই শিরোনামের লেখাটি পড়ার পর পাঠকদের মধ্যে কেউ বলছেন, ‘অনেক মুসলিমও শুকরের মাংস খায়' বা ‘গরুর মাংস খেলে সমস্যা কোথায়?'

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু মোশারফ হোসেন হিন্দুদের গরুর মাংস খাওয়ায় কোনো সমস্যা দেখছেন না৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘গরুর মাংস খেলে সমস্যা কোথায়? আর এ নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন নেই৷ যার ভালো লাগবে খাবে, আর যার ভাল লাগবে না খাবে না৷ একসময় হিন্দুরাও গরুর মাংস খেত৷ এখন খায় না, শেষ৷''

হাসিবুল কবিরও পাঠক মোশারফের সাথে একমত৷ তবে তিনি মনে করেন এসব বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বরং আরো সিরিয়াস বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত৷ তাঁর মতে, ‘‘ভারতের উচিত গরুর পিছনে না ছুটে অনাহারে থাকা মানুষগুলির দিকে তাকানো৷''

মোহাম্মদ আনোয়ার লিখেছেন, ‘‘ভারত যখন মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, অ্যামেরিকায় গোমাংস রপ্তানি করে তখন গরু তাদের দেবতা হয়না আর যখন ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মানুষ গরু খায় তখন গরু তাদের দেবতা হয়ে যায়? বড়-ই অদ্ভুত জাতি ভারতীয় হিন্দুরা৷''

পাঠক ফজলে মনির চৌধুরী অবশ্য সোজাসুজি স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই তার মন্তব্যে লিখেছেন, ‘‘হাই প্রেসার আর হার্টের রোগীদের ডাক্তাররা বিফ খেতে নিষেধ করেন৷''

পিনাকি গুহ জাত নিয়ে মাথা ঘামান না৷ তাঁর সোজা কথা, ‘‘আমি তো গরু, শুকর সবই খাই, কই আমার তো জাত যায়নি৷''

ইফতি খানের অনেক হিন্দু বন্ধুই গরুর মাংস খান৷ তিনি বলছেন, ‘‘এটা নিয়ে কথা বাড়ানোর দরকার কি?''

‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক মুসলিমও শুকরের মাংস খায়,'' এই মন্তব্য পাঠক চাকমার৷

রেজায়ুল মোল্লার সোজা কথা, ‘‘ভালো লাগে তাই খায়৷''

আমাদের পুরনো বন্ধু সোমেন চৌধুরী বলছেন, মাংস খাওয়া ধর্ম, মন আর বিবেকের ইস্যু মাত্র৷ কিন্তু আগেতো মানুষ...তারপর ধর্ম ৷ আসুন কারও নিন্দা না করে সবাই সবাইকে ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি তাতেই সবার মঙ্গল৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

নির্বাচিত প্রতিবেদন