1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজা অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দিল ইসরায়েল

১৭ জুন ২০১০

ইসরায়েল সরকার দীর্ঘদিন ধরে চলা গাজা অবরোধ শিথিল করবে বলে জানিয়েছে৷ তবে সমুদ্রপথ দিয়ে ত্রাণ পরিবহনের উপর অবরোধ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে৷ সাগর সরওয়ার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি রাখছিলেন৷ চলুন তার কাছেই জেনে নেয়া যাক সর্বশেষ৷

https://p.dw.com/p/NtCd
এবার আরও কিছু পণ্য গাজায় প্রবেশ করতে পারবেছবি: AP

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা গত বুধবার বৈঠকে বসেছিলেন গাজা অবরোধ তুলে নেয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করতে৷ ধারণা করা হয়েছিল, এই বৈঠকেই একটি সিদ্ধান্ত আসবে – এবং সেই সিদ্ধান্তটিই নিলেন তাঁরা, তবে একটু কাটছাঁট করে৷ বলা হলো, কেবল স্থল পথে গাজায় পাঠানো হবে পণ্য, তাও আবার সাধারণের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় যা রয়েছে, কেবল সেগুলোই৷ বেশ কিছু কাল ধরে চলে আসা এই অবরোধ শিথিলের সিদ্ধান্তের কথাটি কিন্তু এমনিতে আসেনি, এসেছে আন্তর্জাতিক চাপের কাছে অনেকটা নতি স্বীকার করেই৷

প্রায় ১৬ লাখ মানুষের বসবাস গাজায়৷ আর এদের মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মানুষই জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ত্রাণ সহায়তার উপর নির্ভরশীল৷ কারণ, হামাস গোষ্ঠী৷ গাজার নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস সদস্যরা৷ এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের বিবাদ দীর্ঘ দিন ধরেই৷ গাজা থেকে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলি ক্রমাগত ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে চলেছে৷ তার উপর হামাস এখনো ইসরায়েলের অস্তিত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ এই গোষ্ঠীর উপর থাকা জনসমর্থন যেন লোপ পায়, সে কারণেই তিন বছর আগে ইসরায়েল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই অবরোধ আরোপ করেছিল৷ কিন্তু এই অবরোধ হামাসের জনপ্রিয়তাকে মোটেই খাটো করতে পারেনি৷

18.07.2006 projekt zukunft fragezeichen
এই ছবিটিকেই খুঁজছেন আপনি৷ ছবিটির তারিখ 17/06 এবং কোড: 4791পাঠিয়ে দিন bengali@dw-world.de ঠিকানায় অথবা এসএমএস করুন 0088 0173 030 2205, ভারত: 0091 98309 97232 নম্বরে৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিততে পারেন আকর্ষণীয় সারপ্রাইজ গিফট …ছবি: DW-TV

আরোপিত এই অবরোধের আওতাধীনে রয়েছে প্রায় সকল বাণিজ্যিক পণ্য৷ মানবিক প্রয়োজনে যে সকল পণ্য প্রবেশ করতে দেওয়া প্রয়োজন, কেবল সেগুলোই অবরোধের আওতামুক্ত৷ কিন্তু সব কিছুই আসতে হচ্ছে, ইসরায়েলের ‘নো অবজেকশান সার্টিফিকেট' পাবার পর৷ তারপরেও কথা আছে, এরই মধ্যে অনেকবারই এই অবরোধের দোহাই দিয়ে গাজার জন্য ত্রাণবাহী পরিবহন কিন্তু ঢুকতে দেয়নি ইসরায়েল৷ অস্ত্রশস্ত্র পাচার করা হচ্ছে, এই সন্দেহে বারবার বাধা দিয়েছে৷ সম্প্রতি সমুদ্রপথে ত্রাণবাহী জাহাজের উপর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী৷ মারা যায় ৯ জন৷

হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেছেন, ইসরায়েলি এই সিদ্ধান্তে খুশি হবার মতো কিছু ঘটেনি৷ মূলত এই ধরণের প্রচারণা চালিয়ে ইসরায়েল সম্প্রতি তাদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টাই করছে৷ আসলে তারা আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর চোখ অন্যত্র ঘুরিয়ে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাছাড়া ইসরায়েলের শিথিল তালিকায় এমন অনেক পণ্যই নেই, যেগুলি এখনই আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন৷ এ ক্ষেত্রে তিনি ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর কথা উল্লেখ করেন৷ তিনি বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় সকল পণ্য আনতে দিতে হবে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন