1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গাদ্দাফির পদত্যাগ আর নির্বাসনের আগে কোন আলোচনা নয়’

৪ মার্চ ২০১১

বেনগাজি থেকে লিবিয়ার বিদ্রোহীরা তাদের প্রথম শর্ত জানাল কিছুক্ষণ আগে৷ গাদ্দাফির পদত্যাগ এবং নির্বাসনই তাদের একমাত্র দাবি৷ কোন আলোচনায় বসতে রাজি নয় তারা৷ বিমান হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলকে সচেষ্ট হওয়ার অনুরোধও শোনা গেল৷

https://p.dw.com/p/10TGV
গাদ্দাফির অপসারণের দাবি এখন তীব্রছবি: picture alliance / dpa

গাদ্দাফির বিদায় এবং বিদেশে নির্বাসনের জোরদার দাবি

লিবিয়ার বেনগাজি শহরের দখলদার বিদ্রোহী সংগঠন দ্য ন্যাশনাল লিবিয়ান কাউন্সিলের তরফে সংগঠনের শীর্ষ নেতা তথা লিবিয়ার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুস্তাফা আব্দেল জলিল সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিদ্রোহ থামানোর কোন প্রশ্ন উঠছে না গাদ্দাফির বিদায়ের আগে৷ রয়টার্সকে আব্দেল জলিল বলেছেন, বোঝাপড়া বা আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই যতক্ষণ কর্ণেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি পদত্যাগ করে লিবিয়া ছেড়ে চলে না যাচ্ছেন৷ সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তাঁর আর্জি, বিদ্রোহীদের ওপর বিমানহামলা চালিয়ে যে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছে গাদ্দাফির বাহিনী, তা বন্ধ করতে সচেষ্ট হোক তারা৷ প্রসঙ্গত, কর্ণেল গাদ্দাফি নাকি দেশের গোয়েন্দাপ্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন, বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পথ খুলতে৷ এমন একটা খবরের প্রেক্ষিতেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আব্দেল জলিল৷

ওবামা কড়া ভাষায় গাদ্দাফির সমালোচনা করেছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আর অনুরোধ উপরোধ নয়, বেছে নিয়েছেন দাবির ভাষা৷ তাঁর বক্তব্য, অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে গাদ্দাফিকে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ক্রমশ৷ ডেন হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, কর্ণেল গাদ্দাফি এবং তাঁর কয়েকটি পুত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবে তারা৷ বিষয়, এঁরা সকলে মানবাধিকার লঙ্ঘন কী পরিমাণে করেছেন৷ এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা তদন্তের নির্দেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে৷

Libyen Tunesien Grenze Flüchtlinge Migranten
লিবিয়া টিউনিশিয়া সীমান্তে এক ঘানার নাগরিক নিজের পরিচয় জানাচ্ছেন কাগজে লিখে৷

সীমান্তের পরিস্থিতি ক্রমশই সঙ্গিন হয়ে উঠছে

লিবিয়া টিউনিশিয়া এবং লিবিয়া মিশর সীমান্তে প্রায় লাখখানেক করে শরণার্থীর সমাগমের খবর মিলেছে বৃহস্পতিবার৷ লিবিয়া থেকে প্রায় বিশ হাজার অভিবাসী শ্রমিক গত কয়েকদিনে মিশর, নাইজার এবং টিউনিশিয়ায় ঢুকে পড়েছে বলে জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংগঠন৷

ত্রিপোলিতে চরম সহিংস পরিস্থিতি

রাজধানী ত্রিপোলি এবং সংলগ্ন অঞ্চল নিজের দখলে রাখতে গাদ্দাফির সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ মালি থেকে আসা আরও কয়েক হাজার সশস্ত্র ভাড়াটে সেনা৷ ত্রিপোলির প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন,শহরের অবস্থা থমথমে৷ যখন তখন গাদ্দাফিপন্থীরা সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ যাকে তাকে গুলি করছে তারা৷ পথেঘাটে অবাধ ধরপাকড়, গ্রেপ্তার৷ বহু নগরবাসী রাতারাতি গুম হয়ে যাচ্ছে৷ পাওয়া যাচ্ছে মৃতদেহ৷ সব মিলিয়ে সেখানে চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সেইসব হতভাগ্যরা, যারা ত্রিপোলি ছেড়ে সময়মত পালাতে পারেনি৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান