1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফির যাওয়ার সময় হয়েছে, বলল ওয়াশিংটন

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বাস্তবেই, যে লিবিয়া তথাকথিত বিপ্লবী নেতা মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির হাতের মুঠোর মধ্যে ছিল গত চার দশক ধরে, এখন তার অধিকাংশই সেই মুঠো ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বসেছে৷

https://p.dw.com/p/10Q8D
পূর্ব ত্রিপোলির তাজুরা এলাকায় বাসিন্দাদের সৃষ্ট পথ অবরোধছবি: AP

পূবে বেনগাজি, টোব্রুক, কি পশ্চিমে মিস্রাতার কথা বাদ৷ রাজধানী ত্রিপোলিটা অন্তত ছিল গাদ্দাফি এবং তার সমর্থকদের দখলে৷ এখন তারও কিছু এলাকা থেকে পিছু হঠে যাচ্ছে গাদ্দাফির পুলিশ, এই হল শেষ খবর৷ ওদিকে গাদ্দাফির প্রাক্তন আইনমন্ত্রী মুস্তাফা মোহামেদ আবুদ আজলাইল আগেই বেনগাজিতে বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন৷ এবার তিনি এক ‘অস্থায়ী সরকার' গঠনের কথাও বলেছেন৷

Unruhen in Libyen
ইব্রাহিম দাব্বাশিছবি: AP

জাতিসংঘে লিবিয়ার দ্বিতীয় অন্যতম কর্মকর্তা ইব্রাহিম দাব্বাশি, যিনি লিবীয় কূনীতিকদের মধ্যে প্রায় প্রথমেই গাদ্দাফির সংশ্রব ত্যাগ করেন, সেই দাব্বাশি নাকি বলেছেন যে, তিনি ও তাঁর দূতাবাসের সদস্যরা ‘‘নীতিগতভাবে'' আজলাইলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেন৷ ওদিকে আজলাইল দেশকে পুনরায় ঐক্যবদ্ধ করার কথাও বলেছেন৷ যেমন গাদ্দাফির অপরাধ যাই হোক না কেন, সেজন্য তাঁর গাদ্দাফা উপজাতিকে দায়ী করা হবে না৷

সত্যি বলতে কি, এই অস্থায়ী সরকারের কতোটা জনসমর্থন থাকবে, তা কেউ জানে না৷ তবে গাদ্দাফির ব্যাপারটা স্পষ্ট৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে টেলিফোনালাপেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, গাদ্দাফি তাঁর বৈধতা হারিয়েছেন, এবং এখন তাঁর বিদায় নেওয়া উচিৎ৷ রক্তপাত ও সহিংসতার আর প্রয়োজন নেই, বলেছেন ওবামা এবং তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন, দু'জনেই৷ দশ দিনের এই অভ্যুত্থানে এযাবৎ প্রাণ হারিয়েছেন নাকি ২,০০০ মানুষ৷ কিন্তু গাদ্দাফি অথবা তাঁর পুত্রদের জন্য সেটা কোনো বিবেচ্যই নয়৷ এবং গাদ্দাফি মরণকামড় দেবেন, না তার আগেই রণে ভঙ্গ দেবেন, সেটাও অজানা৷

পরের চাপ আসছে বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থেকে৷ গাদ্দাফি এখন যেটা করছেন, সেটা নাটক, এক হিসেবে পালানোর প্রস্তুতি৷ কেননা পালানোর পথগুলো সব বন্ধ হয়ে যাওয়া অবধি অপেক্ষা করার মতো গোঁয়ার কিংবা নির্বোধ তিনি নন৷ এই হল কিছু পর্যবেক্ষকের ধারণা৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়