1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার

মানুয়েলা কাসপার-ক্ল্যারিজ / এসি১৪ ডিসেম্বর ২০১৩

চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্বের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের নাম, যা আজ ইকোয়েডরের অংশ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার বিপন্ন জীবজগতের সুরক্ষায় বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/1AZEk
Ecuador Galapagosinseln
ছবি: picture-alliance/dpa

গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের ইসাবেলা দ্বীপটি হল জায়ান্ট টরটয়েজ বা অতিকায় কচ্ছপদের আস্তানা৷ কিন্তু গালাপাগোসের জীববৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হতে চলেছে৷ এই কচ্ছপগুলো ঘাস-পাতা, ক্যাক্টাস ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে৷ পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘাসপাতা না পেলে তারা ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয়৷ এই কচ্ছপগুলো ১৭০ বছর অবধি বাঁচতে পারে৷

চার্লস ডারউইন ফাউন্ডেশন আর গালাপাগোস ন্যাশনাল পার্ক মিলে আগেভাগেই একাধিক হ্যাচিং স্টেশন বা কচ্ছপদের নার্সারি সৃষ্টি করেছে৷ কচ্ছপগুলোর পাঁচ বছর বয়স হলে সেগুলোকে মুক্ত প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ গালাপাগোস ন্যাশনাল পার্কের প্রতিনিধি ড্যানি রুয়েডা বলেন, ‘‘একক প্রজাতির সুরক্ষা থেকে শুরু করে গোটা পরিবেশের সুরক্ষা আমাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ গালাপাগোসের জীব ও প্রকৃতিগত পরিবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এই কচ্ছপ, যা কিনা গালাপাগোসের তৃণভোজীদের শীর্ষে৷''

ক্রমেই আরো বেশি মানুষ গালোপাগোসে ভিড় করছে৷ বাসিন্দাদের সংখ্যা গত ত্রিশ বছরে বেড়ে হয়েছে দশগুণ; বর্তমানে অধিবাসীদের সংখ্যা ত্রিশ হাজার, সেই সঙ্গে প্রতি বছর আসে প্রায় এক লাখ আশি হাজার পর্যটক৷ সে কারণেও জীবজন্তুদের বসবাসের পরিবেশ বদলে যাচ্ছে৷

Zweiköpfige Schildkröte Thelma und Louise
পরিবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কচ্ছপছবি: picture-alliance/dpa

বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার

জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে, যেমন ফ্লোরিয়ানা দ্বীপে৷ এটি হল গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের ক্ষুদ্রতম জনবসতিসম্পন্ন দ্বীপ৷ আগে শুধু ডিজেল দিয়েই এখানে কাজ চালানো হতো৷ কিন্তু তা এখন অতীত কাহিনি, কেননা ফ্লোরিয়ানার নতুন জেনারেটরগুলো শুধুমাত্র উদ্ভিদ তেল দিয়ে চলে৷ জার্মানি থেকে আসা বিশেষজ্ঞরা এই জেনারেটরগুলো বসিয়েছেন৷ এটি হল গালাপাগোসের জন্য একটি মডেল প্রকল্প, আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সুরক্ষা উদ্যোগের অর্থানুকুল্যে৷

জাট্রোফা গাছের তেল আসে ইকুয়েডরের মূল ভূখণ্ড থেকে৷ এই তেল পুড়লে প্রায় কোনো কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয় না৷ ফ্লোরিয়ানার পর গালাপাগোসের অন্যান্য দ্বীপেও এ ধরনের জেনারেটর বসানোর পরিকল্পনা চলেছে৷ এই উদ্ভিদ-জাত তেল থেকে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই চলে না, ইকুয়েডরের মূল ভূখণ্ডে মানুষজনের কিছু বাড়তি আয়ও হয়৷ উপকূলের মানাবি প্রদেশটি ইকুয়েডরের দরিদ্রতম এলাকাগুলির মধ্যে পড়ে৷ এখানকার চাষিরা এখন গালাপাগোসে জ্বালানির প্রয়োজন মেটাতে জাট্রোফা ফল সংগ্রহ করে থাকেন৷

চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা

জাট্রোফা মানুষ কিংবা পশুর খাদ্য হবার উপযোগী নয়, কাজেই জ্বালানি উৎপাদনের জন্য আদর্শ৷ এছাড়া প্ল্যান্টেশন বা মোনোকালচার করেও জাট্রোফার চাষ করা হয় না৷ তবে প্রক্রিয়াটা জটিল৷ গোড়ায় ফলগুলো খুব উচ্চমানের ছিল না, তা থেকে বার করা তেলও বিশেষ শুদ্ধ ছিল না৷ বিশেষ ফিল্টার লাগিয়ে চাষিদের ট্রেনিং দিতে হয়েছে৷

এখন কোয়ালিটি অনেকটা বেড়েছে৷ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ গেয়র্গ গ্রুব্যার বলেন, ‘‘গালাপাগোসের জেনারেটরগুলি সবই অত্যাধুনিক, সেগুলি থেকে কার্বন নির্গমনও কড়া আইন করে বাঁধা৷ এই সব জেনারেটরের জন্য উচ্চমানের জ্বালানি তেল দরকার এবং মানাবি-র চাষিরাই এই ধরনের তেল সরবরাহ করতে সক্ষম৷''

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য