1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুচ্ছ বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ হলো

২ আগস্ট ২০১০

বর্তমান বিশ্বে যে কয়টি ভয়াবহ মারণাস্ত্র রয়েছে ক্লাস্টার বম্ব বা গুচ্ছ বোমা তার মধ্যে অন্যতম৷ তবে রোববার থেকে এই বোমার ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু হল, দুই বছর আগের ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত চুক্তি কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে৷

https://p.dw.com/p/OZd6
গুচ্ছ বোমার আঘাতে আহতরা এই বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়েছেছবি: picture-alliance / dpa

গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল ১০৭ টি দেশ৷ এখন পর্যন্ত সেটা অনুমোদন করেছে ৩৭টি দেশ৷ ৩০ টি দেশের বেশি দেশ অনুমোদন করার ছয় মাসের মধ্যেই এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা৷ সেই অনুযায়ী রোববার থেকে এই চুক্তি কার্যকর হল৷ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর অন্যতম হল জার্মানি, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে রোববার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আমরা সন্তুষ্ট যে শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি আজ থেকে কার্যকর হতে চলেছে৷ তবে এটা হচ্ছে কেবল প্রথম পদক্ষেপ, সব সমস্যার সমাধান নয়৷ তবে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক পদক্ষেপ৷''

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এক বার্তায় গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি কার্যকর হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, এটি নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷

তবে এখন পর্যন্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি বেশ কিছু দেশ৷ তার মধ্যে অন্যতম হল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ইসরায়েল, ভারত, পাকিস্তান এবং ব্রাজিল৷ মূলত এসব দেশের হাতেই বেশিরভাগ গুচ্ছ বোমা রয়েছে৷ তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করছে, নতুন চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এসব দেশগুলোর ওপর একটি নতুন চাপ তৈরি হবে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর কর্মকর্তা বোনি ডোচারটি বলেন, ‘‘যারা এই চুক্তি থেকে দূরে রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, চীন এবং রাশিয়া৷ যাই হোক এই নিষিদ্ধকরণ চুক্তি কার্যকর হওয়ার পেছনে অনেক দেশের সমর্থন থাকায় এসব দেশের জন্য এখন এই মারণাস্ত্র ব্যবহার কঠিন হয়ে উঠবে৷''

উল্লেখ্য, যুদ্ধ চলাকালে বিমান থেকে এই গুচ্ছ বোমা ফেলা হয়৷ একটি বোমার ভেতর লুকিয়ে থাকে কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার বোমা, যা ঝাঁকে ঝাঁকে ভূমিতে আঘাত হানে৷ এসব বোমার আকার একটি রকেট শেল থেকে শুরু করে টেনিস বলের সমান পর্যন্ত হয়ে থাকে৷ ভূমিতে আঘাত হানার পর অনেক বোমাই বিস্ফোরিত হয় না৷ ফলে এগুলো স্থল মাইনের চেয়ে কোন অংশেই কম বিপজ্জনক নয়৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক