গুজবে সংঘটিত হয় বিডিআর বিদ্রোহ
৯ মে ২০১০রোববার শেষদিনের মত অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের একথা জানালেন বিদ্রোহ পরবর্তী বিডিআরের প্রথম মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মইনুল ইসলাম৷ সেইসঙ্গে তিনি জানালেন গেল ১৪ মাসের কার্যমেয়াদে তাঁর সাফল্য ও ব্যর্থতার কথা৷ গেল বছরের ফেব্রুয়ারির ২৫শে তারিখ, রাজধানী কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠার মুহূর্তেই অশান্ত হয়ে ওঠে বিডিআর সদর দফতর পিলখানা৷ বিদ্রোহী জওয়ানদের মুহুর্মুহু গুলিতে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে গোটা রাজধানী৷ সারাদিন চলে দাবি আদায়ের নামে নারকীয়তা৷ যা প্রকাশ পায় পরদিন ২৬শে ফেব্রুয়ারি৷ একের পর এক বের হতে থাকে নিহত বিডিআর কর্মকর্তাদের লাশ, যা স্তম্ভিত করে জাতিকে৷
সরকারের দুরদর্শিতায় রাজনৈতিক উপায়ে মোকাবিলা করা হয় বিদ্রোহ৷ বিডিআর-এ শৃংখলা ফিরিয়ে আনাই ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ৷ বললেন বিডিআরের বিদায়ী মহাপরিচালক৷ তিনি এ-ও জানালেন, এবারের বেশকিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বিডিআর-এ যা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে দূরত্ব কমাবে৷
বিডিআরকে সীমান্ত রক্ষায় আরো কার্যকর একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কিছু পরামর্শও দেন তিনি৷
বিডিআর-এ দায়িত্ব পালনের সময়ে সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান, মেজর জেনারেল মইনুল ৷
প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম