1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুজরাটে এশিয়ার বৃহত্তম সৌরপল্লি

১০ জানুয়ারি ২০১১

এশিয়ার বৃহত্তম সৌরশক্তি নির্ভর পল্লি তৈরি হচ্ছে ভারতের গুজরাটে৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর এই গ্রাম হবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি৷ কারণ তাতে জ্বালানির জন্য কয়লার উপর ভারতের নির্ভরশীলতা কমবে৷

https://p.dw.com/p/zvaX
ছবি: picture-alliance/ dpa

প্রায় দুই হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এই সোলার ভিলেজ বা সৌরপল্লি৷ এশিয়ায় এটিই প্রথম প্রকল্প যেখানে ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে৷ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন৷ এসময় তিনি জানান, সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে, ৮০ লাখ টন কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে৷ দুই বিলিয়ন ইউরোর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গুজরাট পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড - জিপিসিএল৷

এখানে থাকছে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, প্রযুক্তিগত সন্নিবেশ, গবেষণা এবং উন্নয়ন অবকাঠামোও৷ এছাড়া স্থানীয় তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই সবুজ জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িত করার জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ ২০২২ সাল নাগাদ ২০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় ভারত সরকার৷ সেই লক্ষ্য পূরণে এটি একটি অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে৷

সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষেত্রে ভারত ইউরোপের দেশগুলোর চেয়েও বেশি সম্ভাবনাময়৷ এমন কথাই বললেন পশ্চিম বঙ্গ পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণ চৌধুরী৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইউরোপে প্রতি বর্গমিটারে এক হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়৷ অন্যদিকে ভারতে এক হাজার সাতশ' কিলোওয়াট উৎপাদন সম্ভব৷'' গুজরাট প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, তারা যেখানে সৌরপল্লি গড়ে তুলছে সেখানে বছরে ৩৩০ দিনই সূর্যরশ্মি পুরোপুরি পাওয়া যায়৷ তাই এই প্রকল্পের জন্য গুজরাটের চারাংকা গ্রামকে বেছে নেওয়াটা যথার্থ হয়েছে, বলেন চৌধুরী৷

এই প্রকল্পের ফলে শুধু যে পরিবেশগত লাভ হবে তা-ই নয়, থাকছে বিপুল অঙ্কের অর্থনৈতিক সুবিধা৷ রাজ্য সরকারের হিসাবে, এর ফলে গুজরাটে প্রায় সাড়ে বারো বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হবে৷ উল্লেখ্য, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ এই সৌরপল্লি থেকে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক