গুন্ডে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক ফেসবুকে | পাঠক ভাবনা | DW | 18.02.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

গুন্ডে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক ফেসবুকে

‘গুন্ডে' ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে৷ ফেসবুক এবং ব্লগে এই নিয়ে চলছে বিতর্ক৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক অনুসারীরাও অংশ নিচ্ছেন বিতর্কে৷

বলিউড ছবি ‘গুন্ডে' প্রসঙ্গে সামহয়্যার ইন ব্লগে রিপন ইমরান লিখেছেন, ‘‘প্রতিটি পাকিস্তানি বিশ্বাস করে ভারতের চক্রান্তের কারণেই তারা পূর্ব পাকিস্তান হারিয়েছে, সুতরাং বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশি বা মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কৃতিত্ব নেই৷ পুরো ঘটনার জন্য দায়ী ভারত৷''

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় জাহিদ কবীর হিমন এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘শুধু প্রতিটি পাকিস্তানিই নয় বরং বাংলাদেশেরও অনেকে যারা ঠিক মন থেকে আমাদের আলাদা হওয়া মেনে নিতে পারেনি, তারাও বলে একাত্তর ছিল ভারতের চক্রান্ত৷ ভারতীয়রাও মনে করতে পারে যে সবই তাদের অবদান৷ কিন্তু শুধুমাত্র আমরাই যারা মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্যকে মনে-প্রাণে লালন করি তারা বলি যে, সব কৃতিত্ব মুক্তিবাহিনীর আর ভারত শুধু আমাদের সাহায্য করেছে৷''

ফেসবুক পাতায় শেয়ার করা ‘জওয়াহিরির বার্তা এবং গুন্ডে' শিরোনামের ব্লগওয়াচের মন্তব্যের ঘরে মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন টুটুল লিখেছেন, ‘‘শুধু ‘গুন্ডে' নয় ‘ভাগ মিলখা ভাগ' ও আরও অনেক চলচ্চিত্রে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধকে ভারতীয় সেনাবাহিনী বনাম পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যকার যুদ্ধ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে৷''

Bangladesch die Bewegung in Dhaka

‘আমাদের আগে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে’

ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক মিনহাজুর মিয়া লিখেছেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশির বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ আমার স্বাধীনতা৷ আমার বাংলাদেশ৷ পাকিস্তানকে ভাঙার জন্য ভারতের হয়ত সাহায্য করা জরুরি ছিল, কিন্তু তাদের সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, আমরা তা কখনোই মনে করি না৷ কারণ স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত মানুষ কখনোই পিছু হটে না৷''

ফেসবুক আদনান সাদেক লিখেছেন, ‘‘তারা কি মনে করে সেটার চেয়ে আমাদের দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে কতটুকু সন্মান করে সেটা ভেবে দেখার বিষয়৷ এখনও রাজাকারদের রক্ষার জন্য বা ক্ষমতায় থাকার জন্য আমরা পাকিস্তান বা ভারতের পা চাটি৷ আমাদের আগে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে, সেটা হলে অন্যরা ঠিক ইতিহাসের যোগ্য সন্মান দিতে শিখবে৷''

তবে সুপর্ন ঘোষ লিখেছেন, ‘‘...বলিউড সমগ্র ভারতের রাজনীতি বা মানুষকে উপস্থাপিত/প্রতিনিধিত্ব করে না৷ একটা সিনেমায় কী দেখানো হবে, তা সে সিনেমার পরিচালক ঠিক করেন৷ সেটা তার স্বাধীনতা, একান্ত নিজস্ব ব্যাপার৷ কিন্তু সারা ভারতের মানুষ ভাষা আন্দোলন জানে না, মুক্তিবাহিনী কী জিনিস জানে না, এটা সর্বৈব মিথ্যা কথা৷''

উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড ছবি গুন্ডের শুরুতে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়নি৷ ফেসবুক এবং ব্লগে বিষয়টির প্রতিবাদ করেছেন অসংখ্য মানুষ৷

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন