1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদান এবার নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ৷ সেখানে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন৷

https://p.dw.com/p/19mEU
epa03056476 Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina addresses the guests at the India-Bangladesh Business Meet in Agartala city, capital of Tripura state, northeast India, 11 January 2012. Sheikh Hasina's visit is the first by any Prime Minister of Bangladesh to Tripura state. EPA/STRINGER
ছবি: picture-alliance/dpa

বিশ্লেষকরা মনে করছেন এসব আলোচনা বাংলাদেশের সংকটময় রাজনীতি ও বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ছেড়েছেন রবিবার সন্ধ্যায়৷ এবার তাঁর সফরসঙ্গী ১৪০ জন৷ এই দলে মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা রয়েছেন৷ রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা এম গিয়াসউদ্দিন৷

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে৷ আর সেদিনই সন্ধ্যায় একান্ত বৈঠকের কথা রয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের সঙ্গে৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর৷ তবে সেটা কোনদিন হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলকে বলেন এই সফরে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠক বাংলাদেশের সংকটময় রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ জাতিসংঘ মহাসচিব এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন৷ তিনি তাঁর টেলিফোন সংলাপে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন৷ আর সংলাপ বা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট দূর করে সমঝোতার কথা বলেছেন৷ অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর টেলিফোন সংলাপের ‘ফলো-আপ' জানতে চাইবেন৷ জানতে চাইবেন নির্বাচনে সবদলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷

অন্যদিকে নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকও খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ গত মে মাসে ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল৷ তবে প্রধানমন্ত্রী সময়ের অভাবে সে আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি৷ অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে৷ সেসব চুক্তির বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ৷ কারণ কোনো চুক্তিই বাস্তবায়িত না হলে তা আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারের জন্য হবে বড় অস্বস্তির বিষয়৷ মমতার কারণে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি এই সরকারের আমলে যে হচ্ছে না তা নিশ্চিত৷ তবুও সীমান্ত চুক্তি যদি কার্যকর হয় তাহলেও হয়তো মুখরক্ষা হবে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়তো তেমন একটা কিছুই চাইবেন৷ অন্যদিকে ট্রানজিট ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীও চাইবেন পুরোপুরি ট্রানজিট সুবিধা৷

তবে সব মিলিয়ে এই সফরে দুটি বৈঠকের ফল কি হবে তা আগেভাগে আঁচ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ৷ কারণ আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের যে অবস্থান তার কোনো পরিবর্তন ঘটার ইঙ্গিত এখনো দেখা যায়নি৷ আর নির্বাচনের আগে ভারত ঘেঁষা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইবে না সরকার৷

২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশের পথে রওয়ানা হবেন বলে জানা গেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য