1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গেইলের দুর্ধর্ষ ৯৮ রান ভারতকে বিপাকে ফেলল

১০ মে ২০১০

মাত্র দুই রান, তাহলেই টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি পেয়ে যেতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রিস গেইল৷ তবে সেঞ্চুরি না পেলেও তাঁর দল জয় পেয়েছে, আর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার আশংকায় পড়েছে ভারত৷

https://p.dw.com/p/NJzK
ক্রিস গেইলছবি: AP

শর্ট বলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা বহু পুরনো একটি বিষয়৷ রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হওয়ার আগে এই দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটসম্যানরা৷ কিন্তু ক্রিজে গিয়ে সেই পুরনো জুজুর ভয়ই ধরে বসল যুবরাজ আর গম্ভীরদের৷ ক্যালিপসোদের ফাস্ট বোলার তো দুরের কথা, মিডিয়াম পেসারদের শর্ট বল আর বাউন্স সামলাতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁদের৷ ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৬৯ রানকে মনে হয়েছে পাহাড়সমান৷ সুরেশ রায়নার ২৫ বলে ৩২ ছাড়া আর কেউই তেমন রান করতে পারেননি৷ ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫ তেই শেষ হয় ভারতের ইনিংস৷

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরো ইনিংসই ছিল ওপেনার গেইলময়৷ নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ হওয়ার মাত্র দুই বল আগে রান আউট না হয়ে গেলে ছোট ক্রিকেটের বিশ্বকাপের আসরে হয়তো দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন তিনি৷ মাত্র ৬৬ বলে ৯৮ রান করেন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান গেইল, যার মধ্যে রয়েছে ৫টি চার ও ৭টি ছয়৷

Australien Cricket Meisterschaft Neuseeland
অস্ট্রেলিয়া দলের উল্লাসছবি: AP

শ্রীলংকার শোচনীয় হার

এদিকে শ্রীলংকাকে মাত্র ৮৭ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবিয়ে ৮১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩০ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে অসিরা৷ কিন্তু দিনটি আসলে ছিল ক্যামেরন হোয়াইটের৷ তাই মাত্র ৪৯ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন তিনি যাতে রয়েছে ছয়টি করে চার ও ছক্কা৷ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া৷ জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই লংকান ব্যাটসম্যানরা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন৷ মাত্র ৪৯ রানের মধ্যেই আউট হয়ে যান পাঁচ জন ব্যাটসম্যান৷ একের পর এক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানদের ফিরতে দেখে শ্রীলংকার টেইল এন্ডারদের মধ্যেও যেন আউট হওয়ার নেশা চাপে৷ ফলে ৭৩ থেকে ৮৭ এই ১৪ রানের মধ্যে পতন ঘটে শেষ পাঁচটি উইকেটের৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়