1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোধরা কাণ্ডের রায় দিল আদালত

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ভারতের এক বিশেষ আদালত ২০০২-এ গুজরাটের সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের জন্য ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ৫৯ জনকে অব্যাহতি দেন৷ ঐ অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায় ৫৯ জন, যার প্রতিক্রিয়ায় গুজরাটে শুরু হয় দাঙ্গা৷

https://p.dw.com/p/10Lp5
গুজরাটের দাঙ্গায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধেছবি: UNI

আহমেদাবাদের সবরমতি জেলে বিশেষ আদালতের রায়ে বলা হয়, ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরা রেলস্টেশনে সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬ নম্বর বগিতে অগ্নিকাণ্ড ছিল এক ষড়যন্ত্র৷ ঐ ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালত ৯৪ জনের মধ্যে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন৷ দোষীদের শাস্তি কী হবে, তা ঘোষিত হবে আগামী শুক্রবার এসম্পর্কে শুনানির পর৷ অবশিষ্ট ৬৩ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়, যার মধ্যে আছে মূল আসামি মৌলবি ওমরজী৷ ঐ ট্রেনে অযোধ্যা থেকে ফিরছিলেন হিন্দু তীর্থযাত্রীরা৷ কিছু মুসলিম মৌলবাদী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ট্রেনে আগুন লাগাবার জন্য ১৪০ লিটার পেট্রোল পর্যন্ত কিনে রেখেছিল, যা থেকে এই সন্দেহ প্রমাণিত হয়, বলেছে আদালত৷ ঐ অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত পুড়ে মারা যায় ৫৯ জন ৷

একদিন পর গোধরা কাণ্ডের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গুজরাটের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় দাঙ্গা৷ তাতে মারা যায় ১২০০'র বেশি লোক, যাঁদের বেশির ভাগ মুসলিম৷

এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি৷ দলের মুখপাত্র তরুণ বিজয় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কংগ্রেস-জোট সরকার পুরো ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি৷ পক্ষান্তরে যাঁরা এই ঘটনার শিকার, মনমোহন সিং সরকার তাঁদেরই দোষ দিয়েছিল, বলেন বিজেপি মুখপাত্র৷ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বিরাপ্পা মইলির মন্তব্য, আইন তার নিজের পথে চলেছে৷ অপরাধীদের শাস্তি অবশ্যই পাওয়া উচিত৷ তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে আপীলের দরজা খোলা থাকবে৷

২০০২-এর ফেব্রুয়ারিতে গোধরা কাণ্ড ও গুজরাট দাঙ্গায় গ্রেপ্তার করা ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় সন্ত্রাস প্রতিরোধ আইনে৷ মার্চে গুজরাট সরকার নিয়োগ করেন তদন্ত কমিশন৷ কমিশনের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় গোধরা কাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত৷ এজন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী দায়ী নন৷ এরপর ২০০৪ সালে সবরমতি এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইউ.সি ব্যানার্জী কমিটি নিয়োগ করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ৷ কমিটি রায় দেন, ঐ অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নয়, অগ্নিকাণ্ড বগির ভেতর থেকেই হয়েছিল৷ গুজরাট হাইকোর্ট এই রায়কে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন, যেহেতু আগের নানাবতী কমিশন তদন্ত করছেন৷ নানাবতী কমিশনও গোধরা কাণ্ড ও পরবর্তী গুজরাট দাঙ্গাকে ষড়যন্ত্রমূলক বলেছেন৷ ২০০৯-এ গঠিত বিশেষ আদালত মোটামুটি একই ধরণের রায় দেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন