1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোলের বন্যা বইয়ে বিপুল বিজয় পেল আর্জেন্টিনা

১৭ জুন ২০১০

বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক পেলেন ইগুয়াইন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার আত্মঘাতী গোল দিয়েই যদিও শুরু৷ তাছাড়া ডিফেন্ডারের ভুলে একটা গোলও খেতে হয়েছে মারাদোনার দলবলকে৷

https://p.dw.com/p/Ntbl
বিজয়ের উল্লাসে কোচ মারাদোনাছবি: AP

জোহানেসবার্গের সকার সিটি স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর নয় মিনিটের মাথায় মেসিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ম কি হুন৷ শুরু থেকেই আক্রমণে যেতে থাকে আর্জেন্টিনা৷ তবে ২০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পায় তারা৷ অবশ্য গোলদাতা তাদের কেউ নন৷ পার্ক চু ইয়াং ডি বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ঢুকিয়ে দেন নিজেদের জালে৷ ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা৷ গোলদাতা গঞ্জালো ইগুয়াইন৷ মাক্সি রডরিগেসের ক্রস থেকে তাঁর জোরালো হেড খুঁজে পায় জালের ঠিকানা৷ তবে প্রথমার্ধের খেলা যখন প্রায় শেষ তখনই একটি গোল শোধ করে দেয় কোরিয়া৷ আর তা আসে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার মার্টিন ডেমিচেলিসের ভুলে৷ বলটি ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে না পারায় তা চলে যায় লি চুং ইয়ং এর কাছে৷ আর গোলকিপার সার্জিও রোমেরোকে ফাঁকি দিয়ে বলটি জালে জড়িয়ে দেন লি৷

এরপর আরও গোল এবং কেবলই গোল৷ পরপর তিনটি গোল করে যান একাই গঞ্জালো ইগুয়াইন৷ এই বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক৷ তবে মারাদোনার প্রিয়পাত্র মেসিকে তেমনভাবে জ্বলে উঠতে দেখা গেল না এই সহজ ম্যাচেও৷ মারাদোনার মতে যিনি অচিরে বিশ্বকে শাসন করবেন, সেই মেসি এই ম্যাচেও ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ৷ দুটি সহজ গোলের সুযোগও নষ্ট করেন তিনি৷

এর আগে ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিলো আর্জেন্টিনা আর দক্ষিণ কোরিয়া৷ ৩-১ গোলে জয় পেয়েছিলো দিয়েগো মারাদোনার দল৷ তবে সে খেলায় মারাদোনাকে বেঁধে রাখার দায়িত্ব ছিলো হু জুং মু-এর৷ ২৪ বছর পর আবার দেখা দুই ব্যক্তিত্বের৷ তখন ছিলেন খেলোয়াড়, এখন তাঁরা দুই দলের কোচ৷

বল মাঠে গড়ানোর আগেই অবশ্য খেলা শুরু করে দেন মারাদোনা, বাক্যবাণে পেলে আর প্লাতিনিকে বিদ্ধ করে৷ কারণ, কয়েকদিন আগে পেলে হঠাৎ করেই বলে বসেছিলেন, টাকার জন্যই কোচিং করার দায়িত্ব নিয়েছেন মারাদোনা৷ মারাদোনার পাল্টা জবাব, পেলেকে এখন জাদুঘরে সাজিয়ে রাখার সময় এসেছে৷

মারাদোনার কোচিং স্টাইলের সমালোচনা করে পার পাননি ফরাসি কিংবদন্তী ফুটবলার মিশেল প্লাতিনিও৷ আর্জেন্টিনা কোচের মুখ থেকে তাঁকে শুনতে হলো, ‘‘ফ্রেঞ্চরা কেমন, তা আমরা সবাই জানি, আর এর মধ্যে প্লাতিনি ভাবেন, তিনি অন্য ফ্রেঞ্চদের চেয়ে একটু ভালো খেলতেন৷''

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন