1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিক ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা নিতে চান ইউরো নেতারা

৬ মে ২০১০

ইউরো মুদ্রা এলাকার দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা শুক্রবার বৈঠকে মিলিত হবেন৷ সেখানে মূল প্রশ্ন হবে এটাই যে, গ্রিসের তীব্র ঋণ সংকটজনিত পরিস্থিতি থেকে কীভাবে কোন্ শিক্ষা নেয়া যায়৷

https://p.dw.com/p/NFwd
বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে মুক্তি পেতে পালাচ্ছেন এক দাঙ্গা পুলিশছবি: AP

ইউরো এলাকার জন্য কতগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম আছে৷ এবং সেই নিয়মগুলো সদস্য দেশগুলো ঠিকঠাক মানছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে কঠোরতর বিধি প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই৷ কিন্তু তা কার্যকর করার ক্ষমতা এবং দৃঢ় ইচ্ছা সদস্যদের আদৌ আছে কি?

ইউরো নেতারা যখন শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলস-এ বৈঠকে বসবেন তখন এই প্রশ্নটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দেবে৷ কেননা ঋণপাশে বাঁধা গ্রিস থেকে যে আর্থিক অগ্নিঝড়ের সূচনা তা এখন পর্তুগাল আর স্পেন'এর মত অন্যান্য ইউরো দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ বৈঠকের ঠিক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনার অলি রেন বলেছেন: ‘‘গ্রিসে যে আগুন লেগেছে তা নিভিয়ে ফেলা খুবই জরুরি যাতে তা প্রচণ্ড এক দাবানলের রূপ না-নেয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক স্থিতি এবং সামগ্রিকভাবে তার অর্থনীতির জন্য তা হুমকি না হয়ে ওঠে৷''

ইইউ'র কূটনৈতিক মহল বলছেন, যে ১৬টি দেশ ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করে, সেই দেশগুলোর নেতারা দুটি প্রধান ইস্যুর মুখোমুখি হবেন: গ্রিসের জন্য পরিকল্পিত ১১০ বিলিয়ন ইউরোর উদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে সংসদীয় অনুমোদন এবং গ্রিক ট্র্যাজেডি থেকে ইউরো এলাকাকে কোন্ শিক্ষা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে৷ এ ধরণের অর্থ বিপর্যয় ঠেকাতে ভবিষ্যতে নেতারা কী ব্যবস্থা নেবেন, সম্ভবত এই প্রশ্নটাই সবচেয়ে জটিল হয়ে দেখা দেবে৷

গ্রিসের জন্য নির্দিষ্ট উদ্ধার প্যাকেজের বড় অংশই দেবে জার্মানি৷ তাই দেশের ভিতরে এই ঋণ সাহায্য নিয়ে চলেছে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্ক৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আর ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি শীর্ষ বৈঠকের ঠিক আগে প্রকাশিত এক যুক্ত চিঠিতে লিখেছেন: ‘‘শুধু এই সংকটের মোকাবিলা করাই যথেষ্ট হবেনা৷ আরও এগিয়ে যেতে হবে৷ এ ধরণের সংকটের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সবগুলো শিক্ষা নিতে হবে আমাদের৷ গ্রহণ করতে হবে সব রকমের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ৷''

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন