1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভবিষ্যতের খাদ্য

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

এমন দৃশ্য কে না দেখেছে? মাঠের উপর চরে বেড়াচ্ছে অসংখ্য গরু৷ তাদের প্রয়োজন বেড়ে চলেছে৷ বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশগুলিতে মাংস খাওয়ার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে৷ কিন্তু পরিবেশের জন্য তার পরিণাম ভয়াবহ৷

https://p.dw.com/p/18q2p
ছবি: Fotolia/teine

গোটা বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য গবাদি পশুপালন অনেকটাই দায়ী৷ কিন্তু পশু না মেরেই যদি মাংস তৈরি করা যেত, তাহলে কেমন হতো?

ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউটের ফ্লোরিয়ান ভিল্ড ঠিক এই অসাধ্য সাধন করার চেষ্টা করছেন৷ সহকর্মীদের নিয়ে তিনি ‘নিরামিষ' মাংসের কাটলেট তৈরির কাজ করছেন৷ প্রথমে ভুট্টা, মটরশুটি বা সয়াবিন পানিতে ঢালেন ফ্লোরিয়ান৷ খাদ্যের প্রোটিন নিয়েই তাঁর আগ্রহ বেশি৷ তিনি বলেন, ‘‘কাজ শুরুর সময় এই হলো মাল-মশলা৷ এরপর এগুলি আরেকটু প্রস্তুত করে, শুকিয়ে নিয়ে মাংসের বিকল্প তৈরির কাজে লাগানো হবে৷''

Symbolbild Nahrungsmittelnachfrage Fleischkonsum Asien
মাংস খাওয়ার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছেছবি: STR/AFP/Getty Images

ফ্লোরিয়ান ভিল্ড এই মিশ্রণ গবেষণাগারের ফিল্টার প্লান্টে আনেন৷ সেখানে এক যন্ত্র দিনে প্রায় ১,০০০ লিটার মিশ্রণ তৈরি করতে পারে৷ সেই মিশ্রণ দিয়ে প্রায় ২০০ কিলোগ্রাম নিরামিষ মাংস তৈরি করা হয়৷ ভিল্ড বলেন, ‘‘এই প্লান্টের মূল অংশ হলো এই ফিল্টার মডিউল৷ ফিল্টারে খুব সূক্ষ্ম ও নির্দিষ্ট মাপের ফুটো রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে শর্করা গলে গেলেও প্রোটিন আটকে যায়৷''

এর পরের ধাপে নিরামিষ এই পাউডারের কনসেন্ট্রেট গবেষণাগারে এক ধরনের হাই টেক প্রেশার কুকারে ভরা হয়৷ যার সঙ্গে আবার ঠাণ্ডা করার যন্ত্রও লাগানো রয়েছে৷

প্রথমে সেই পাউডারে পানি মেশানো হয়৷ একই সঙ্গে প্রবল চাপের মধ্যে প্রায় ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সেটা গরম করা হয়৷ তারপর আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা করা হয়৷ তখন বেশ আঠালো আঁশের মতো পদার্থ সৃষ্টি হয়৷ তখন সেটাকে সত্যি আসল মাংসের মতে দেখতে লাগে৷ খেতে কেমন লাগে? ভিল্ড বলেন, ‘‘এখনই কিন্তু এই মিশ্রণ খাওয়া যেতে পারে৷ যেমন চেয়েছিলাম, মাংসের মতো সেই বিন্যাস এখনো হয়নি৷ অনেকটা ময়দা মাখার মতো লাগছে৷''

নিরামিষ এই মাংসে প্রোটিন ও আঁশ রয়েছে, তবে ফ্যাট বেশি নেই৷ অনেকটা মুরগির মাংসের মতো৷ চিবানোর সময়ও সেরকমই লাগে৷

ফ্লোরিয়ান জানেন, যারা মাংস খেতে অভ্যস্ত, তাদের মন জয় করতে হলে স্বাদও ভালো হওয়া চাই৷ তাই গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি নানা রকম মসলার সুগন্ধ নিয়েও পরীক্ষা চালাচ্ছেন৷ তাঁরা যদি ভবিষ্যতে যদি সত্যি ভালো মানের বিকল্প মাংস তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিপুল সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে৷ তিনি বলেন, ‘‘নিরামিষ এই কাটলেট তৈরির উপকরণ উৎপাদনের জন্য অনেক কম জমি লাগে৷ মাঠ থেকে তুলে আনলেই হলো৷ তাই নিরামিষ কাটলেট তৈরির জন্য যে চাষের জমি চাই, তা থেকে আরও বেশি মানুষের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা সম্ভব৷''

গোটা বিশ্বে খাদ্য সমস্যা কমানোই ফ্লোরিয়ান ভিল্ড-এর স্বপ্ন৷ সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদেরও সাশ্রয় হবে৷ কারণ মটরশুটি, ভুট্টা বা সয়াবিনের মাংস তৈরির সময় অনেক কম জ্বালানি, পানি ও জমির প্রয়োজন হয়৷ গবাদি পশুচারণের সময় যা অনেক বেশি লাগে৷

এসবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য