1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসের জন্য প্রয়োজন ‘দৃঢ় উদ্যোগ’

২৯ এপ্রিল ২০১০

গ্রিসের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নিয়ে এখন সরব ইউরোপ৷ শীর্ষ নেতারা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব গ্রিসের জন্য আর্থিক ত্রাণ কর্মসূচী শুরু করতে হবে৷ এদিকে, ডলারের বিপরীতে ইউরোর মানও নিচের দিকেই ছুটছে৷

https://p.dw.com/p/N949
দৃশ্যত, আর্থিক মন্দায় এভাবেই জ্বলছে গ্রিস (ফাইল ফটো)ছবি: AP

গ্রিসকে আর্থিক সংকট থেকে টেনে তুলতে করণীয় নিয়ে বুধবার টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আলোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ দুই নেতারই মত, দেশটির অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন ‘দৃঢ় উদ্যোগ'৷ আর এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে গ্রিসকেই, একইসঙ্গে আর্থিক ত্রাণ কর্মসূচী নিয়ে হাত বাড়াতে হবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে৷

বলাবাহুল্য গ্রিসের বাজেট ঘাটতির চাপ পড়ছে সমগ্র ইউরোপেই৷ কমে যাচ্ছে ডলারের বিপরীতে ইউরোর মুদ্রা মান৷ তাই ইউরোপের ১৬ জাতির অভিন্ন মুদ্রা তথা ইউরোর মান বাচাঁতে একটু বেশিই আগাতে হচ্ছে জার্মানিকে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বললেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, গ্রিসের উদাহরণই দেখিয়েছে যে, লেমান ব্রাদার্সের মতো আরেকটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেয়া চলবে না৷ অপরদিকে গ্রিসের উদাহরণ এও দেখিয়েছে যে, সমস্যার সমাধান এমনভাবে করতে হবে, যাতে তা একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কার্যকরী সমাধান হয়৷ তা যেন কোনভাবেই মাস দুয়েকের স্বস্তিতে পর্যবসিত না হয়৷''

অবশ্য, গ্রিসের সংকট ঠিক কতটা ভোগাবে তা নিয়ে সঠিক কোন পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যাচ্ছে না৷ আপাত মানে ৪৫ বিলিয়ন ইউরোর যে আর্থিক ত্রাণ কর্মসূচীর কথা বলা হচ্ছে তা শেষ পর্যন্ত ১৩৫ বিলিয়নে গিয়ে ঠেকতে পারে৷ এই অর্থের একটি বড় অংশের নিশ্চয়তা দিতে হবে জার্মানিকে৷

গ্রিসের এই অর্থ সাহায্য প্রয়োজন হবে আগামী ৩ বছর৷ কিন্তু সবচেয়ে বড় যে আশঙ্কার কথা বিশেষজ্ঞরা শোনাচ্ছেন, তাহলো এরপরও হয়তো গ্রিস আর্থিক সঙ্কট কাটাতে সক্ষম হবে না৷ সেক্ষেত্রে যে অর্থ গ্রিসকে দেয়া হচ্ছে তা ফেরৎ পাবার কোন সম্ভাবনা থাকছে না৷

সে যাই হোক, এই মুহূর্তে গ্রিসের অবস্থা খুবই সঙ্গীন৷ বিশেষত আগামী ১৯ মে'র মধ্যে দেশটিকে প্রদান করতে হবে ৮.৫ বিলিয়ন ইউরো পরিমাণ সুদ৷ আর তাই, গ্রিসের জন্য যে আর্থিক ত্রাণ কর্মসূচীর কথা ভাবা হচ্ছে তা দ্রুত করার জন্য তাগাদা দিলেন আইএমএফ প্রধান ডমিনিক স্ট্রাউস-কান৷ তিনি বলেন, ‘‘ঋণগত সাহায্যগুলি যত শীঘ্র সম্ভব প্রক্রিয়াজাত করতে হবে৷ এক-একটি দিন নষ্ট করার মানে হচ্ছে, পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে এবং তা শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্যই নয়, ইইউ'র বাইরেও ব্যাপক ফলশ্রুতি ঘটাবে৷''

এদিকে, গ্রিস সংকটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশের উপর৷ বুধবার এসএন্ডপি রেটিংসে দেখা যাচ্ছে স্পেনের ঋণগত উপযোগিতার মান নামছে নিচের দিকে৷ যে তালিকায় আগেই যোগ হয়েছে পর্তুগাল৷ ফলে পরিস্থিতি যা, তাতে সমগ্র ইউরোজোনই এখন হুমকির মুখে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী