1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসে এক সপ্তাহ ব্যাংক বন্ধ

২৯ জুন ২০১৫

গ্রিস সংকটের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সেদেশের নাগরিকরা উৎকণ্ঠিত হয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ তোলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ ফলে ব্যাংকগুলো তহবিল শূন্য হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1ForF
Griechenland Geld Geldautomat
এথেন্সের ব্যাংকে এটিএম-এর সামনে লম্বা লাইনছবি: Reuters/S. Rapanis

এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে এক গেজেট ঘোষণার মাধ্যমে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত সব ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে গ্রিস৷ এছাড়া এটিএম থেকে অর্থ তোলার ক্ষেত্রে সীমাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে৷ ফলে গ্রিকরা এটিএম থেকে ৬০ ইউরোর বেশি তুলতে পারবেন না৷

এর আগে দাতাদের প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত পেতে আগামী ৫ জুলাই গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস৷ শুক্রবার হঠাৎ করে দেয়া এই ঘোষণার সময় ঋণের অর্থ (মঙ্গলবারের মধ্যে আইএমএফ-কে ১.৫ বিলিয়ন ইউরো দিতে হবে) ফেরত দেয়ার সময়সীমা বাড়ানোরও আহ্বান জানান গ্রিক প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু শনিবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে গ্রিসের সেই প্রস্তাব না মানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ ফলে সংকট আরও ঘণীভূত হয়ে ওঠে৷ এরপরই শুরু হয় গ্রিকদের অর্থ তোলার হিড়িক৷ এটিএমগুলোতে লম্বা লাইন দিয়ে গ্রিকরা অর্থ তোলা শুরু করেন৷

এদিকে, সোমবার বিকেলে গ্রিসের জন্য নতুন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হবেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার৷ ইইউ-র অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিশনার জানিয়েছেন এই তথ্য৷ ফ্রান্সের একটি বেতারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইয়ুংকারের নতুন প্রস্তাবে সংকট থেকে উত্তরণের নতুন পথের কথা বলা হবে৷ সবাই সেই পথ অনুসরণ করবে বলেও মনে করেন ইইউ কমিশনার৷

গণভোট প্রসঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ বলেছেন, সেটা গ্রিক নাগরিকদের অধিকার৷ ‘‘ইউরোজোনে তাঁরা থাকবে নাকি থাকবেনা, সেটা ঠিক করার অধিকার তাঁদের রয়েছে,'' সোমবার বলেন তিনি৷ গ্রিস চাইলে বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে কথা বলতে পারে জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গ্রিস ও দাতাদের মধ্যে এখনও চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য