1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসে দেশজোড়া ধর্মঘট, বার্লিনে আজ পাপানদ্রেয়াউ

৫ মার্চ ২০১০

অস্থির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে পড়ে যাওয়া গ্রিসে আজ শুক্রবার আবার দেশজোড়া ধর্মঘটের ডাক৷ সরকারের কৃচ্ছসাধন নীতির সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারছে না ট্রেড ইউনিয়নগুলো৷ প্রধানমন্ত্রী পাপনদ্রেয়াউ আসছেন বার্লিনের সমর্থনের জন্য আজই৷

https://p.dw.com/p/MKX5
আবার ধর্মঘট গ্রিসে৷ছবি: AP

গ্রিসে আবার কেন ধর্মঘট

কারণ সরকার নতুন আর্থিক নীতির ঘোষণা করেছে৷ যে নীতি বলছে খরচ একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে অথচ বেশি কর দিতে হবে৷ রোজগারেও থাবা বসছে বহু ক্ষেত্রে৷ তার ওপর বিদেশি ঋণ শোধ করতে হিমসিম সরকার চায় ঢেলে সাজাতে অর্থনীতি৷ সব মিলিয়ে চাপের মধ্যে সাধারণ মানুষ৷ তাই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশের প্রধান সরকারি এবং বেসরকারি কর্মী সংগঠনগুলি একজোটে৷

ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে কোথায় কোথায়

দেশজোড়া এই ধর্মঘটের আওতায় আসবে রেল পরিবহণ এবং বিমান পরিবহণও৷ ফলে দেশজুড়ে এই ধর্মঘটের চরম প্রভাব দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা৷ বৃহস্পতিবার গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সের অর্থমন্ত্রক অল্প সময়ের জন্য দখল করে নিয়েছিল বামপন্থী সংগঠনগুলির এক জোট৷ তারাও সোচ্চার এই আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে৷ কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি পুরো সময় জুড়ে৷ আজ শুক্রবার ধর্মঘট চলবে দীর্ঘ সময়৷ জনজীবন অচল হয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা৷ হতে পারে ভাঙচুর, অবরোধও৷

কী বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন গ্রিসের নতুন আর্থিক নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে৷ কিন্তু অন্য কীভাবে তারা গ্রিসকে এই আর্থিক অবনমন থেকে উঠে আসতে সাহায্য করতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক গ্রিসের এই নয়া আর্থিক নীতিকে স্বাগত জানালেও এই পরিকল্পনায় অ্যাথেন্সকে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছে৷ জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের প্রধান হাইনার ফ্ল্যাশবেক বলেন, আর্থিক মন্দার এই ক্ষতিকর প্রভাব কাটাতে হলে প্রাথমিকভাবে কিছু কিছু খাতে অর্থ বিনিয়োগ করাটাও জরুরি৷ তাই সরকার যদি মনে করে সবক্ষেত্রে কৃচ্ছসাধন করলেই সমাধান আসবে, তাহলে তা ভুল৷

Angela Merkel und Giorgos A. Papandreou
বার্লিনে আজ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী পাপানদ্রেয়াউ৷ছবি: picture alliance / dpa

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রেয়াউ আসছেন বার্লিনে

ইউরোপের সমর্থন পাওয়াটা এখন খুব জরুরি গ্রিসের জন্য৷ সেই উদ্দেশ্য নিয়েই গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রেয়াউ শুক্রবার আসছেন বার্লিনে৷ বৈঠকে বসবেন তিনি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে৷ ইউরোপের ধনীতম অর্থনীতির দেশ জার্মানির কাছে নিজেদের পরিস্থিতিটা খুলে বলতে চান পাপানদ্রেয়াউ৷ আসলে আন্তর্জাতিক অর্থসংস্থা বাআইএমএফ-এর কাছে অর্থসাহায্য চাইবে গ্রিস৷ কিন্তু তার আগে ইউরোপের সমর্থন আদায় করতে চান গ্রিক প্রধানমন্ত্রী৷ কারণ, অনুরোধটা যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে যায়, তাহলে আইএমএফের কাছে দরবার করাটা সহজতর হয়ে যাবে তাঁর পক্ষে৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম