1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসে প্রবল বিক্ষোভ, মৃত তিনজন

৫ মে ২০১০

রাজধানী এথেন্স এবং উত্তরের থেসালোনিকি শহরে বুধবার সমবেত হয়েছেন হাজার হাজার গ্রিক নাগরিক৷ চলছে বিক্ষোভ৷ যা সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ৷ এমনকি, একটি পেট্রোল-বোমার আঘাতে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন৷

https://p.dw.com/p/NF3R
গ্রিসে অব্যাহত ধর্মঘট, চলছে বিক্ষোভওছবি: AP

সর্বাত্মক ধর্মঘটে বুধবার অচল হয়ে পড়েছে গ্রিস৷ দেশকে সম্ভাব্য দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে, সরকারের কঠোর ব্যয় সংকোচের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছে গ্রিসবাসী৷ তাই কঠোর ব্যয় কমানোর এ পরিকল্পনা, গ্রিক সরকারের জন্য বড় ধরনের পরীক্ষা হয়ে দেখা দিয়েছে৷

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গ্রিসে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে৷ বন্ধ রয়েছে রেল, বিমান ও ফেরি চলাচলও৷ কাজ হচ্ছেনা সরকারি কার্যালয়, স্কুল এবং পর্যটন স্থানগুলিতেও৷ হাসপাতালগুলিতে শুধু জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন৷ এমনকি গণমাধ্যমের কর্মীরাও সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত রয়েছেন৷

বুধবার গ্রিসের প্রধান কর্মী ইউনিয়নের ডাকে সকাল ১১টার সময় এথেন্সের কেন্দ্রস্থলে সমবেত হয় প্রতিবাদীরা৷ পরে পার্লামেন্ট ভবন অভিমুখে মিছিল বের করে তারা৷ আর সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের৷ লাঠি চালায় পুলিশ৷ নিক্ষেপ করা হয় কাঁদানে গ্যাসও৷ শুধু তাই নয়, রাজধানী এথেন্সের একটি ব্যাংকে পেট্রোল-বোমা ছোড়া হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে৷ দেশটির বেসরকারি ইউনিয়ন জিএসইই-এর প্রধান গিয়ান্নিস পানাংগোপোলাস বলেন, ধনীরা কিছুই দিচ্ছে না, অথচ গ্রিসের মানুষকে আত্মত্যাগ করতে বলা হচ্ছে৷ এটা ঠিক নয়৷

NO FLASH Angela Merkel Bundestag 5.5.2010
গ্রিসকে সমর্থনের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তের পক্ষে জার্মান বুন্ডেসটাগে বক্তব্য রাখছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: AP

প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক উদ্ধার প্যাকেজের বিনিময়ে রবিবার এই কঠোর ব্যয় হ্রাস পরিকল্পনা ঘোষণা করে গ্রিস৷ বিভিন্ন খাতে খরচ কমানো, কর বাড়ানো, সরকারি কর্মকর্তাদের বছর শেষের বোনাস বন্ধ করা ও পেনশন কমানোর পদক্ষেপ রয়েছে এ পরিকল্পনায়৷ আর্থিকভাবে শোচনীয় অবস্থায় পড়া গ্রিস ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ১২০ বিলিয়ন ইউরো পেতে জাতীয় পর্যায়ে এ ত্যাগ স্বীকারের পদক্ষেপ নেয়৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিলটি ইতিমধ্যেই সংসদে পেশ করা হয়েছে৷ বিলটি নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোট হবে বলে খবর৷

ওদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গ্রিসকে সমর্থনের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তের পক্ষে বুধবার জার্মান বুন্ডেসটাগে বক্তব্য রেখেছেন৷ আগামী শুক্রবার জার্মান সংসদের উভয়কক্ষে এ ব্যাপারে ভোটাভুটি হবার কথা রয়েছে৷ ম্যার্কেল বলেন যে, গ্রিস সংকটের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানির ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল৷ তিনি বলেন, পুরো ইউরোপ জার্মানির দিকে তাকিয়ে ছিল৷ এমনকি জার্মানি ছাড়া ইইউ'র পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব ছিলনা৷

উল্লেখ্য, গ্রিসকে সহায়তার ব্যাপারে ম্যার্কেল প্রথমে ধীর গতিতে এগুলেও, পরবর্তীতে ইইউ এবং আইএমএফ-এর চাপের মুখে দ্রুত সিদ্ধান্তের পথে যেতে দ্বিধা করেননি৷ তাই ইউরোর সহযোগিতা তহবিলের প্রায় ২৮ শতাংশ দেবে জার্মানি৷ যা কিনা প্রায় ২২.৪ বিলিয়ন ইউরো৷

প্রতিবেদন : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক