1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসে বিক্ষোভ চরমে, ঋণ চায় না স্পেন

১ মে ২০১০

দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ আন্দোলনের মধ্যেই ব্যাপকহারে কর বাড়ানোর ঘোষণা করল গ্রিক সরকার৷ শ্রমিক আন্দোলন তীব্র মে দিবসে৷ ওদিকে স্পেন জানাল, বাইরে থেকে সাহায্য চায় না তারা৷

https://p.dw.com/p/NCB5
ছবি: AP

বিভিন্ন খাতে অকরণ খরচ কমানো এবং ব্যাপক হারে কর বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রেয়াউ৷ লক্ষ্য, ইউরোজোনের কাছে আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে সম্ভাব্য ঋণের শর্ত পূরণ৷ তবে গ্রিক সরকারের এই কঠোর ব্যায়সংকোচ নীতি কতটা বাস্তবায়িত হতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই৷ কারণ, শ্রমিক দিবস বা মে দিবসের মিছিল রাজধানী এথেন্সে রীতিমত সংঘর্ষের চেহারা নিয়েছে শনিবার৷ দেশের প্রধান দ্বীপগুলির সঙ্গে গ্রিসের সেতুবন্ধ রুখতে যাবতীয় সমুদ্রযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ধর্মঘটি শ্রমিকরা৷ বন্ধ রেলস্টেশন৷ হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্যান্য কাজকর্ম বন্ধই বলা যায়. সর্বত্রই সরকারের কড়া ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছে৷

কিন্তু, গ্রিসের মতই দেনার দায়ে বিপর্যস্ত দেশ স্পেন কিন্তু কিছুটা সামলে ফেলেছে নিজেদের অবস্থা৷ ফলে তারা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বাইরে থেকে কোনরকম ঋণ বা সাহায্যের প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করছে না৷ স্পেনের অর্থমন্ত্রী এলেনা সালগাডো শনিবার মাদ্রিদে এক বিবৃতিতে জানান, বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা সবটাই মোটের ওপর পূর্ণ হয়েছে৷ জাতীয় ঋণ এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণের আওতাতেই৷

তবে স্পেনের সরকার এরকম দাবি করলেও সেদেশের বেকার সমস্যা বেশ ঘোরালো হয়ে উঠছে ক্রমশ, বলছে পরিসংখ্যান৷ এই মুহূর্তে চলতি বছরের প্রথম চার মাসের হিসেব বলছে, বিশ শতাংশেরও বেশি মানুষ বেকার সেদেশে৷ যাকে বলে সর্বকালীন রেকর্ড সেটা৷ ইউরোপীয় দেশগুলিতে বেকারীর সর্বোচ্চ হার গত মার্চে ছিল দশ শতাংশ৷ স্পেনের হিসেব দেখা যাচ্ছে তার দ্বিগুণ৷ যদিও স্পেন সরকার তাদের ১১.২ শতাংশ জাতীয় ঋণের পরিমাণ কমাতে ৫০ বিলিয়ন ইউরোর যে আর্থিক সুবিধা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল, তার সুফল মিলছে বলে মাদ্রিদের দাবি৷ আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে স্পেন তাদের ঋণের পরিমাণ কমিয়ে ৩.০ শতাংশ করতে চায়৷ আর সেকাজে তারা সাফল্য পাবে বলেই মাদ্রিদের বিশ্বাস৷

প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা- সাগর সরওয়ার