1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ঘরে ফিরে যাও’: কঠোর নির্দেশের পরও রাজপথে লালজামাধারীরা

১৭ মে ২০১০

লালজামাধারীদের ঘরে ফিরে যাবার নির্দেশ জানিয়ে ব্যাংককের বিভিন্ন এলাকায় সরকারী হুমকি সম্বলিত প্রচারপত্র ছাড়া হয়েছে বিমান থেকে৷

https://p.dw.com/p/NPpE
ব্যাংককের বর্তমান অবস্থা, হাতে তৈরি অস্ত্র নিয়ে সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করছে লালজামাধারীরাছবি: AP

এক এক করে সাঁইত্রিশ জন সহযোগীকে হারালেন লালজামাধারীরা৷ কিন্তু তারপরও আন্দোলন ছেড়ে যাবেন না এই আন্দোলনকারীরা৷ লালজামাধারীদের এই কড়া অবস্থানে কঠোর সরকারও৷ বিমান থেকে ছড়ানো লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘ঘরে ফিরে যাও, ছেড়ে দাও শহরের অবরুদ্ধ এলাকা, আর তা না হলে সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে৷ আর ধরা পড়লেই দুই বছর কারাবাস৷'

এই হচ্ছে শ্যামদেশের অবস্থা৷ সরকারের পক্ষ থেকে আজ সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল তিনটা নাগাদ রাজধানী ব্যাংককের অবরুদ্ধ এলাকাগুলো ছেড়ে দেবার আলটিমেটাম দেয়া হলেও তা মানেননি লালজামাধারীরা৷ পুলিশের হিসাবে অন্তত ৫ হাজার বিক্ষোভকারী সেখানে রয়েছেন৷ এদের কেউ কেউ নাচ-গান করছেন, কেউবা প্রার্থনা করছেন৷

শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার অবসান কবে হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না৷ সেখানে রাতে দিনে লালজামাধারী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ৷ বিভিন্ন স্থানে ‘নো এন্ট্রি' নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ সেখানে গুলি চালানো হচ্ছে কোন ঘোষণা ছাড়াই৷ পুলিশ জানিয়েছে, খুব শিগগিরই অবরোধস্থল থেকে আন্দোলনকারীদের উচ্ছেদ করতে বড় ধরণের অভিযান শুরু হবে৷ আর এই কথার সত্যতা পাওয়া গেলো কিছু সময় আগেই৷ জানা গেলো, আন্দোলনকারীদেরকে দেয়া আল্টিমেটামের পর সেখানে শুরু হয়েছে আরও গুলি বর্ষণ৷ হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, আরও সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় তারা তাদের জরুরী সেবা ব্যবস্থায় সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রেখেছেন৷ এই রাতেই সেখানে বড় ধরণের কোন কিছু ঘটে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা৷

Thailand Unruhen in Bangkok
সেনাবাহিনীর কড়া অবস্থানছবি: AP

এরই মধ্যে খবর এসেছে, গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত লালজামাধারী আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা, সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জেনারেল খাট্টিয়া সাওয়াসদিফল মারা গেছেন৷ ব্যাংককে বসবাসকারী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী আদম আলী৷ তিনি জানালেন, সেখানে বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা৷ শহর ছেড়েছে পর্যটকরা৷ ব্যবসা বাণিজ্যে প্রচন্ড মন্দা এবং বড় বড় বেশ কিছু শপিংমল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুসারে, অব্যাহত সেনা তৎপরতার মুখে লাল জামাধারী আন্দোলনকারীরা অবশেষে আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছিল, সেই আহ্বানের ব্যাপারে কোন সবুজ সংকেত আসেনি সরকারের পক্ষ থেকে৷ ফলে অবস্থা যে ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন