ঘুমের সমস্যায় যা করবেন
আপনি কি ভীষণ ক্লান্ত বা মানসিক চাপে আছেন, যার কারণে রাতে ঘুম কম হচ্ছে? জার্মানিতে আপনার মতো ঠিক একই সমস্যাই ভুগছেন প্রায় তিন কোটি মানুষ ৷ আগের মতো আবারো যাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন, তার জন্য কিছু উপায় দেয়া হলো ছবিঘরে৷
ভালো ঘুম অত্যন্ত জরুরি
ঘুমের সমস্যা স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি৷ রাতে ভালো ঘুম না হলে পরের দিন খুব ক্লান্ত লাগে৷ সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো মনে হয়৷ এমনকি অল্পতেই রাগ বা মেজাজও খারাপ হয়৷ শুধু তাই নয়, কাজে পুরো মনোযোগ না থাকায় হাতের কাজটাও শেষ করা যায় না৷ সে সময় নার্ভাসও লাগতে পারে৷ আর নার্ভাস হলে তার নেতিবাচক প্রভাব তো ঘুমের ওপর পড়বেই৷
ঘুমের ট্যাবলেট থেকে সবধান!
রাতে ঘুম না এলে বা বার বার ঘুম ভেঙে গেলে, বিষয়টিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে৷ কারণ রাতের পর রাত ঘুম না হলে শরীরে শক্তির মাত্রা কমে গিয়ে শরীর-মন দু’টোই দুর্বল হয়ে যায়৷ অনেকে তো উপায়ান্তর না দেখে নিয়মিত ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করেন৷ কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরের দিনেও শরীরে থেকে যায় আর আস্তে আস্তে ট্যাবলেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে মানুষ৷
ভালো ঘুমের জন্য যা করবেন
প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় যেতে হবে এবং সন্ধ্যায় খানিকটা হাঁটতে পারলে তা ঘুম আসতে সাহায্য করবে৷ তাছাড়া বিছানায় যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করলেই দেখবেন ঘুম আসতে আর দেরি হবে না৷
একটু দেরিতে বিছানায় যাবেন
যাঁদের রাতে এক বা দু’বার ওঠার অভ্যাস আছে, তাঁরা একটু দেরিতে বিছানায় যাবেন৷ এর ফলে হয়ত রাতে আর না-ও উঠতে হতে পারে৷
দুপুরে ঘুম নয়!
দুপুরে না ঘুমালে স্বভাবিকভাবেই মানুষ রাতে একটু বেশি ক্লান্ত বোধ করে৷ তাই যাঁদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়, তাঁরা দিনেরবেলায় কখনো ঘুমাবেন না৷ বরং রাতে তাড়াতাড়ি বিছানায় যান, দেখবেন ঘুমও হবে৷
ব্যায়াম
আমরা সবাই কম-বেশি জানি যে দিনে কোনোরকম কাজ-কর্ম বা শরীরের কোনো ব্যায়াম না করা হলে, রাতে মানুষ ক্লান্ত হয় না৷ এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক৷ তাই দিনেরবেলায় নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে, কারণ ব্যায়াম উত্তেজনা এবং রিলাক্সেশনের মধ্যে সমতা আনে৷
রাতের খাবার
ভালো ঘুমের জন্য রাতের খাবার হতে হবে অবশ্যই হালকা৷ তাছাড়া রাতে ক্যাফিনযুক্ত পানীয় বা অ্যালকোহলকে দূরে রাখতে হবে৷
ঘুমের মধ্যে শরীরে যা ঘটে
ঘুম যদি গভীর হয় মস্তিষ্ক সারাদিনের ক্লান্তি মুছে দিয়ে ওজন কমাতে পারে৷ যথেষ্ট ঘুম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে৷ শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে৷
নার্ভাস?
মানুষ নার্ভাস হলে মস্তিষ্ক অস্থির হয়ে পড়ে৷ ফলে বিপাক প্রক্রিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন হতে পারে না৷ এতে করে শরীরে মেদ জমে৷ তাই চাপ বা স্ট্রেসকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলা, ব্যায়াম করা এবং হাসিখুশি থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷