1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও অন্যান্য

২৩ মে ২০১০

ভারতের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবরছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারাভিযান, সাতক্ষীরায় গ্রামবাসীর হাতে ব়্যাব সদস্যদের অবরুদ্ধ থাকার ঘটনা এবং আসন্ন বাজেট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা স্থান পেয়েছে ঢাকার পত্রিকাগুলোতে৷

https://p.dw.com/p/NV8U
বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামছবি: DW/Kumar Dey

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের হালচাল নিয়ে শিরোনাম হয়েছে দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর, ইত্তেফাক, কালেরকণ্ঠ, ডেইলি স্টারসহ প্রায় সব পত্রিকাতেই৷ খবরে বলা হচ্ছে, এবার দলীয় ইস্যুগুলো নিয়ে মাঠে নামছেন প্রধান দুই দলের মেয়র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ৷ আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবিগণ নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত৷ অপর দিকে বিএনপি প্রার্থী এম মনজুর আলমের পক্ষে বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা কর্মপন্থা ঠিক করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী গত তিন মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ইতিমধ্যে তাঁর প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কতটুকু বাকি রয়েছে তা জনগণের নিকট তুলে ধরছেন সংশ্লিষ্টরা৷ বিগত সময়ের মতো এবারও নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচন করছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী৷

শুরু হলো 'টেক্সবাংলা-২০১০'

সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী যে দলেরই হোক না কেন তাকে উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত 'টেক্সবাংলা-২০১০' প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন৷ দৈনিক যায়যায়দিন, ইত্তেফাক, যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে এই খবর৷ এতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার ও শিল্পোন্নয়নের স্বার্থে যে কোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস শিল্পোন্নয়নের পথে বাধা৷ তাই সন্ত্রাস যেই করুক তাকে রেহাই দেয়া হবে না৷ এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে বস্ত্রখাতে কর্মদক্ষতা, মান ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য বস্ত্রকল মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷

সাতক্ষীরায় ব়্যাবের কথিত অস্ত্র উদ্ধার ঘটনা

সাতক্ষীরার গ্রামে গভীর রাতে ব়্যাবের কথিত অস্ত্র উদ্ধার ঘটনা নিয়ে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড৷ ব়্যাব সদস্যরা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে এই অস্ত্র সফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকিয়ে রেখে হয়রানি করছে এই অভিযোগে গ্রামবাসী তাদের ঘিরে ফেলে৷ সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর তারা পুলিশের সহায়তায় মুক্ত হয়৷ খবরটি বেশ গুরুত্বের সাথে জায়গা করে নিয়েছে দৈনিক যুগান্তর, ইত্তেফাক, নিউ এইজ, ডেইলি স্টারসহ অধিকাংশ পত্রিকায়৷ খবরে বলা হচ্ছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় ব়্যাব-৬ এর একটি দল মেজর কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুলপোতা গ্রামের সফিকুল ইসলামের বাড়ি ঘিরে ফেলে৷ সফিকুলের স্ত্রী নিলুফার পারভিন জানান, এ সময় তিনি দেখতে পান তাদের জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে কে বা কারা একটি ব্যাগে কি যেন ফেলে দিচ্ছে ঘরের মধ্যে৷ এরই মধ্যে ব়্যাব সদস্যরা বাড়ির দরজা লাথি মেরে ভেঙে ফেলে ঘরে ঢুকে ব্যাগটি হাতে তুলে অস্ত্র রয়েছে বলে ঘোষণা দেয়৷ বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে কুলপোতা ও আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ সফিকুলের বাড়ি চলে আসে৷ তারা অবরুদ্ধ করে ফেলে ব়্যাব সদস্যদের৷ পুলিশ প্রাথমিকভাবে ব়্যাব সদস্যদের উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়৷ পরে দীর্ঘ আলোচনার এক পর্যায়ে অবরোধকারী গ্রামবাসী ব়্যাব সদস্যদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়৷ অবশ্য ব়্যাব জানিয়েছে, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ব়্যাব জড়িত নয়৷

গ্রন্থনা: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়