1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চরম অবস্ট্যাকল রেস

এমিলি শেরউইন/এসি৮ জুলাই ২০১৫

জার্মানির তরুণ প্রজন্ম এখন আধুনিক জীবনযাত্রায় কিছুটা ‘বোরড'৷ তাতে নাকি কোনো রোমাঞ্চ নেই৷ তাই তারা অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে এখন মাঠেঘাটে, জলকাদা মেখে অবস্ট্যাকল রেসে নামেন৷ কিন্তু এর মজাটা কোথায়?

https://p.dw.com/p/1Fu84
emx_150430_Extrem-Hindernislauf.jpg
ছবি: DW

ঘোড়াদের মতোই মানুষের ‘পার্কুর' বা ‘শো-জাম্পিং'৷ এখানে চিন্তা করার কোনো সময় নেই! নিয়ম হলো: চোখ বুজে ঠান্ডা জলে ঝাঁপ দাও৷ জার্মানিতেও এ ধরনের চরম অবস্ট্যাকল রেস এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ রাইন-মাইন উপত্যকার এক্সলেটিক্স চ্যালেঞ্জ রেসটিতে এবার প্রায় ৩,৮০০ অপেশাদার দৌড়বীর অংশগ্রহণ করেছেন৷ তাদের মধ্যে মারবুর্গ থেকে আগত একটি দল, যারা নিজেদের নাম রেখেছেন ‘লান অ্যাথলিটস'৷ এদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবার এই ‘চ্যালেঞ্জে' এসেছেন৷ এই ‘লান নদীর অ্যাথলিটদের' বক্তব্য হলো, ‘‘এটা আসলে গোটা দলের ব্যাপার, গোটা দলটা এসেছে মজা করতে৷ কোনো টাইমিং করা হচ্ছে না৷'' আরেকজন বললেন, ‘‘আমি এখানে আসতে চেয়েছিলাম কেননা এখানে আসাটা বাকেট লিস্ট-এর মধ্যে পড়ে, অর্থাৎ সকলেরই যা অন্তত একবার করে দেখা উচিত৷'' আরেক জনের মতে, ‘‘যে কোনো ভাবে ফিনিশ তো করতেই হবে৷ দলের সঙ্গেও প্রচুর মজা হবে৷ হ্যাঁ, সেটাই বোধহয় আমার এখানে আসার প্রধান কারণ৷''

Bildergalerie Seltsame Sommer-Events Schlamm-Wettkampf Tough Mudder 2014
জলকাদা মাখার মধ্যেও বোধহয় একটা আনন্দ আছে...ছবি: picture-alliance/dpa

‘লান অ্যাথলিট'-দের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো: সকলে মিলে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছানো৷ দলের প্রায় সকলেই আজ পাহাড়ের ঢালে আঙুরখেতের দৌড়ে যোগদান করেছেন৷

দম ফুরোলে কিংবা চোট লাগলেও: ‘দারুণ!'

জার্মানিতে আজকাল অবস্ট্যাকল রেসের খুব চল৷ এ বছর ৭০টির বেশি এ ধরনের ‘পার্কুর'-এর আয়োজন করা হচ্ছে৷ তার মধ্যে সাতটির উদ্যোক্তা এই এক্সলেটিক্স৷ তবে অবস্ট্যাকল বা প্রতিবন্ধকগুলো সকলের পক্ষে সহজ নয়৷

১৩ কিলোমিটার পথ জুড়ে ২৫টি অবস্ট্যাকল বা প্রতিবন্ধক – দম ফুরোনোরই কথা! ক্রীড়া মনোবিদ প্রফেসর টোমাস টয়বেল মনে করেন, অবস্ট্যাকল রেসের প্রবণতার কারণ হল আধুনিক জীবনযাত্রার নিশ্চিন্ত ও নির্ঝঞ্ঝাট প্রবাহ৷ তিনি বলেন, ‘‘এভাবে আমরা সম্ভবত নিজেদের সম্পর্কে আবার সচেতন হয়ে উঠতে চাই, অনুভব করতে চাই৷ আমরা কিছু একটা অভিজ্ঞতা করতে চাই, যার ফলে আমরা নিজেদের সীমা বুঝতে পারব, কেননা আমাদের সভ্য সমাজে তার খুব বেশি একটা সুযোগ থাকে না৷ কাজেই আমরা এই সব চরম খেলাধুলার খোঁজে থাকি৷''

অবস্ট্যাকল রেসে অংশগ্রহণকারীদের যে সব বাধা পার হতে হবে, সেগুলো কিন্তু এসেছে মিলিটারি ড্রিল থেকে৷ যদি কেউ কোনো বাধা পার না হতে পারে, তবে তাকে ডনবৈঠক দিতে হয় – যাকে বলে কিনা ‘বার্পি'!

দেখাতে হবে, আপনি কতোটাফ'

‘টাফ গাই' নামের দৌড়টি হচ্ছে এ ধরনের অবস্ট্যাকল রেসগুলোর জনক৷ তারও শুরু সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণে৷ স্রষ্টা ছিলেন এক সাবেক মার্কিন সৈনিক৷ ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডে জলকাদার মধ্যে প্রথম দৌড় অনুষ্ঠিত হয় – তখন গভীর শীত! আজও তাই আছে৷

২০১০ সাল যাবৎ ‘টাফ মাডার' নামধারী দৌড়গুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ইতিমধ্যে এই দৌড় নাকি ম্যারাথন দৌড়ের চাইতেও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ টাফ মাডারে সারা বিশ্বে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন৷ এ ধরনের দৌড়ে ইলেকট্রিক শক দিলেও নাকি কোনো আপত্তি নেই!

ক্রীড়া মনোবিদ প্রফেসর টয়বেল বলেন, ‘‘ব্যথা পাওয়ার মধ্যেও একটা মজা আছে, সেটা বলতেই হবে৷ মিশ্রিত, পরস্পরবিরোধী একটা অনুভূতি৷ সেই সীমানাটা পার হওয়া মধ্যে একটা সুখের – এবং গর্বের অনুভূতি আছে, যা আমরা পেতে চাই৷''

এক্সলেটিক্স চ্যালেঞ্জের এই অবস্ট্যাকলগুলোতে ব্যথার চেয়ে টিমওয়ার্কের গুরুত্বই বেশি৷ লক্ষ্য সাধন করতে পেরে ‘লান অ্যাথলিটরা' যে বেশ গর্বিত, সেটা তাদের দেখলেই বোঝা যায়৷ এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘‘দল ছাড়া ওটা আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না, সেটা আমি বলতে বাধ্য৷ সেটাই আসল মজা৷ এখানে সবাই সবাইকে সাহায্য করে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান