1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলছে ৯৯তম ‘বায়রয়েথ অপেরা উৎসব’

৫ আগস্ট ২০১০

উৎসব শুরু হয়েছে গত ২৫শে জুলাই৷ বিখ্যাত জার্মান সুরস্রষ্টা রিশার্ড ভাগনারের অপেরা নিয়ে প্রতি বছর জার্মানির বাভারিয়া অঙ্গরাজ্যের বায়রয়েথ শহরে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব৷

https://p.dw.com/p/OcNH
এখানেই প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় ‘বায়রোয়েথ অপেরা উৎসব’ছবি: AP

সুরকার ও গীতিকার রিশার্ড ভাগনার অপেরা সঙ্গীত জগতের এক বিরাট ব্যক্তিত্ব৷ তাঁর জন্ম ১৮১৩ সালে জার্মানির লাইপসিশ শহরে৷ অসংখ্য অপেরা রচনা করেছেন তিনি৷ ভাগনার নাগরিক কোলাহলের বাইরে সবুজঘেরা প্রকৃতির কোলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন নিজস্ব এক থিয়েটারভবন, যেখানে পরিবেশিত হবে শুধু অপেরা - তাঁর নিজের রচিত অপেরা৷ তাঁর সেই ইচ্ছারই বাস্তব রূপ বায়রোয়েথ অপেরা উৎসব হল৷ প্রথম উৎসব হয় ১৮৭৬ সালে৷ ১৯৫১ সাল থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই অপেরা উৎসব৷ বায়রয়েথ হয়ে উঠেছে পশ্চিমা ধ্রুপদী সঙ্গীতের অনুরাগীদের এক তীর্থস্থান৷ প্রতি বছর অনুষ্ঠিত এই উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্য গায়ক গায়িকা, সঙ্গীত ও অপেরা নির্দেশক যোগ দেন৷

Bayreuther Festspiele Die Walküre Flash-Galerie
বায়রয়েথ হয়ে উঠেছে পশ্চিমা ধ্রুপদী সঙ্গীতের অনুরাগীদের এক তীর্থস্থানছবি: AP/BAYREUTHER FESTSPIELE/ARVE DINDA

অপেরা সঙ্গীত জগতে বিশ্বের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল এই ‘বায়রোয়েথ অপেরা উৎসব'৷ এবারকার উৎসবের উদ্বোধন করা হয় ভাগনারের বিখ্যাত রোমান্টিক অপেরা ‘লোয়েনগ্রিন' দিয়ে৷ দুর্ভাগ্যের শিকার ব্রাবান্ট রাজ্যের উত্তরসূরি রাজকন্যা এলজাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এক অপরিচিত বীরযোদ্ধা৷ শুধু একটি শর্তে, এলজা যেন কখনো তাঁর পরিচয় জানতে না চান৷ তাঁদের গভীর ভালবাসা, শর্তভঙ্গ ও বিচ্ছেদ নিয়ে ‘লোয়েনগ্রিন’এর কাহিনি৷ পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত জার্মান নাট্য ও অপেরা পরিচালক হান্স নয়েনফেল্স এবং সংগীত নির্দেশনায় ছিলেন খ্যাতিমান লাটভিয়ান নির্দেশক অ্যান্ড্রিস নেলসন্স৷

Götterdämmerung nach Schlingensief Flash-Galerie
রিশার্ড ভাগনার এর সর্বশেষ অপেরা ‘পার্সিফাল’এর একটি দৃশ্যছবি: AP/BAYREUTHER FESTSPIELE/ARVE DINDE

মাসব্যাপী এই উৎসবে ভাগনারের বিভিন্ন অপেরা পরিবেশিত হবে৷ তাঁর মধ্যে ‘পার্সিফাল’ উল্লেখযোগ্য৷ রিশার্ড ভাগনার এর সর্বশেষ অপেরা ‘পার্সিফাল'৷ ঐতিহাসিক পটভূমিকায় রচিত এক তরুণের জীবনকাহিনী৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক