1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই মহিয়সী নারী আর নেই

২৪ মে ২০১৬

বেগম পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগমের মৃত্যুর শোক সামলানোর আগেই এলো আরেক চিরবিদায়ের খবর৷ বুয়েটের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরামও চলে গেলেন না ফেরার দেশে৷ ফেসবুকে এই নিয়ে লিখেছেন অনেকে৷

https://p.dw.com/p/1Iteo
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert

১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই প্রথম প্রকাশ হয় নারীদের জন্য পত্রিকা ‘বেগম'৷ সেই সময় এমন এক পত্রিকা বের করা ছিল প্রচণ্ড সাহসের ব্যাপার৷ সুফিয়া কামাল ছিলেন সেই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক৷ আর সদ্য কলেজ থেকে বের হওয়া নূরজাহান বেগম ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক৷ পরবর্তীতে পত্রিকাটির পুরো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এই মহিয়সী নারী৷ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্বপালন করছেন তিনি৷

নূরজাহান বেগমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে৷ তাঁর জীবনের নানাদিক নিয়ে ফেসবুকেও হচ্ছে লেখালেখি৷ কেউ কেউ তুলে ধরেছেন তাঁর সঙ্গের নানা স্মৃতি৷ সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন,

‘‘সম্ভবত ১৯৯৩ সালে বাংলাবাজার পত্রিকা থেকে আমাকে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হলো মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিনের জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে রিপোর্ট করতে৷ তখন তিনি শতবর্ষ পেরিয়েছেন৷ নারিন্দার বাসায় গেলাম৷ নাসিরউদ্দিন কানে শুনতেন না৷ আমি প্রশ্ন করতাম, নূরজাহান বেগম তাঁর বাবার কানের কাছে চিৎকার করে তা বলতেন, তারপর নাসিরউদ্দিন জবাব দিতেন৷ তার সব কথা আমি বুঝতাম না৷ নূরজাহান বেগম আবার আমাকে সেটা বুঝিয়ে দিতেন৷ অগ্রসর বাপ-বেটির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা৷''

সাংবাদিক শেখ রোকন নূরজাহানের প্রয়ানের পর অন্যদের আলোচনার ধরণ বিশ্লেষণ করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘তাঁর প্রয়াণে ব্যক্তি নূরীর চেয়ে বেশি আলোচিত 'বেগম' পত্রিকা, সমকালীন নারী সমাজ, দেশ বিভাগ প্রভৃতি৷ কেউ কেউ তাঁকে ‘ওপার বাংলার' মানুষ হিসেবে শনাক্ত করছেন, দেখলাম৷ আদতে তিনি নদীভাঙনপীড়িত; আল মাহমুদের ভাষায় ‘তার এপার-ওপার নেই৷'''

শেখ রোকন আরো লিখেছেন, ‘‘পৈত্রিক গ্রাম পাইকারদী মেঘনাগর্ভে চলে গিয়েছিল তার জন্মেরও আগে৷ বাবা ছিলেন স্টিমার কোম্পানির সহকারী স্টেশন মাস্টার; ভিটে-মাটি নদীতে গেলে নদী ছেড়ে বীমা কোম্পানির চাকরি নেন কলকাতায়৷ মা গিয়ে ওঠেন মেঘনাপাড়েই আরেকটি গ্রাম চালিতাতলী, বাবার বাড়িতে৷ শিশু নূরী দুই দফা পানিতে পড়লে পরে তারা কলকাতায় চলে যান৷ সেই চালিতাতলীও কয়েক দফা নদীভাঙনের কবলে পড়েছে৷ বস্তুত তিনি সারাজীবন ভাঙনই দেখলেন; শৈশবে নদীর পর যৌবনে দেশভাঙন তো বটেই, তিনি যে নারীমুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন, সেটাও সম্ভবত ভাঙনপ্রবণই রেখে গেলেন৷''

এদিকে, সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত দুটো পাঁচ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুয়েটের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম৷ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বুয়েটিয়ান ফেসবুক পাতায়

লেখা হয়েছে, ‘‘এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে তিনি, এবং ভিসি হিসেবে সামান্য কিছু দিনের দায়িত্ব পালন কালে যে অসামান্য অবদান রেখে গেলেন তার জন্য বুয়েট তাঁকে যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে৷ আর সেই অবদান হচ্ছে বুয়েটের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা সঠিক সময়ে শুরু করে সঠিক সময়ে শেষ করা৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান