1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলে গেলেন সারামাগো

২০ জুন ২০১০

চলে গেলেন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক জোসে সারামাগো৷ ৮৭ বছর বয়সে শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ ১৯৯৮ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া সারামাগো লিউকেমিয়ায় ভুগছিলেন৷

https://p.dw.com/p/NxIj
জোসে সারামাগোছবি: AP

জন্ম পর্তুগালে হলেও স্পেনের ক্যানারি দ্বীপে থাকতেন সারামাগো৷ যীশু খ্রিস্টকে নিয়ে লেখা একটি বইকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই দশক আগে নিজ দেশে ক্ষমতাসীন ডানপন্থীদের হুমকি-ধমকির মুখে ওই দ্বীপটিতে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান তিনি৷ মৃত্যুও হলো সেখানেই৷

পর্তুগিজ এ লেখক শুধু উপন্যাসই লিখতেন না, কবিতা, অনুবাদ - সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রেই পদচারণা ছিলো তাঁর৷ প্রথম উপন্যাস ‘ল্যান্ড অফ সিন' প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালে৷ এটা খুব বেশি পরিচিত করেনি তাঁকে৷ শুরুতে মেকানিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও এ উপন্যাস প্রকাশের পর লেখালেখির জীবনেই নিজেকে বেঁধে ফেলেন তিনি৷ মাঝে অবশ্য সাংবাদিকতাও করেন তিনি৷ তবে লেখক হিসেবে খ্যাতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৮০'র দশক পর্যন্ত৷ তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসটি হলো ‘ব্লাইন্ডনেস'৷ রোগাক্রান্ত হয়ে একটি শহরের সব বাসিন্দার অন্ধ হয়ে যাওয়ার গল্প বলেছেন তিনি এ উপন্যাসে৷ এটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে৷ আর এর পরপরই নোবেল পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম মনোনীত হয়৷ সারামাগোর শেষ উপন্যাসটি বেরিয়েছে গত বছর৷

Portugiesischer Nobelpreisträger Jose Saramago tot
১৯৯৮ সালে নোবেল পুরস্কার হাতে সারামাগোছবি: picture-alliance/dpa

সারামাগোর বিশ্বাস ছিলো কমিউনিস্ট আদর্শে৷ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা নিয়ে চোখা মন্তব্য করে স্বদেশে অনেকের বিরাগভাজনও হন তিনি৷ আবার স্পেন ও পর্তুগালকে নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দিয়েও কঠোর সমালোচনায় পড়েন তিনি৷

নৈরাশ্যবাদী নয়, নিজেকে আশাবাদী ভাবতেই পছন্দ করতেন সামারাগো৷ তবে এ বছরের শুরুতেই এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলে ফেলেছিলেন, তাঁর আয়ু আর বড় জোর তিন বছর৷ তবে অতটা সময় পেলেন না৷ এ বছর এডিনবরা বইমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো তাঁর৷ তাও আর হলো না৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক