1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাই ডিএনএ, কবর খুঁড়ে তোলা হল ফিশারের মৃতদেহ

৬ জুলাই ২০১০

কিংবদন্তি মার্কিন দাবাড়ু ববি ফিশারের মৃতদেহ কবর থেকে খুঁড়ে তোলা হল৷ নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ কারণ, ফিশারের উত্তরাধিকার আর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এখন দরকার তাঁর ডিএনএ৷

https://p.dw.com/p/OBP2
জীবদ্দশায় ববি ফিশার৷ এক চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা চলার মুহূর্তে(ফাইল ছবি)ছবি: AP

ববি ফিশার৷ কিংবদন্তি সেই মার্কিন দাবাড়ু৷ সাতের দশকে যিনি দাবায় বিশ্বজয় করেছিলেন প্রায় হেলায়৷ জীবনের শেষদিকটায় বসবাস করতেন আইসল্যান্ডে৷ জন্মসূত্রে মার্কিন হলেও ফিশার আইসল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন৷ ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে ফিশারের মৃত্যু হয় ৬৫ বছর বয়সে৷ দাবা চ্যাম্পিয়ন ফিশারের সম্পত্তির মোট পরিমাণ প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার৷ তাঁর মৃত্যুর পর থেকে শুরু হয়েছে ফিশারের সম্পত্তি নিয়ে বখেরা৷

সম্প্রতি নয় বছরের এক বালিকা জিঙ্কি ইয়ং-এর মা মারিলিন নামের এক যুবতী ফিশারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার বলে নিজের কন্যাকে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ মারিলিন নামের ওই যুবতীর সঙ্গে প্রণয় ছিল ফিশারের৷ মারিলিনের দাবি, ছোট্ট জিঙ্কি ফিশারেরই কন্যা৷ সুতরাং, ফিশারের সম্পত্তি সন্তান হিসেবে জিঙ্কিরই প্রাপ্য৷ মারিলিন আর জিঙ্কির এই দাবির ভিত্তিতেই আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকঝাভিকের সুপ্রিম কোর্ট ফিশারের কবর খুঁড়ে তাঁর দেহাবশেষে থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেয় জুন মাসের শেষদিকে৷ তারপরেই সোমবার এই কবর খোঁড়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল৷

ফিশারের সম্পত্তি নিয়ে সমস্যার কিন্তু এখানেই শেষ নয়৷ ফিশারের প্রাক্তন স্ত্রী এবং কয়েকজন আত্মীয়ও তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর মৃত্যুর পরেই৷ আপাতত ডিএনএ পরীক্ষার পর যদি জানা যায় ছোট্ট জিঙ্কির পিতা ছিলেন ফিশার, সেক্ষেত্রে যদিও জিঙ্কির দাবিই হবে সবচেয়ে বেশি৷

এখন এই পরীক্ষার ফলাফলের ওপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে৷ রেইকঝাভিক শহরের শেরিফ ওলাফুর হেলগি জারটানসন জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজনে কবর থেকে ফিশারের দেহাবশেষ তোলা হয়েছে পুরোপুরি পেশাদারী দক্ষতায় এবং পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে৷

দাবা বিশ্বের এক বিস্ময় ছিলেন ববি ফিশার৷ এই সম্মানটুকু তো অবশ্যই তাঁর প্রাপ্য৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন