1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাপের মুখে জার্মানি ও ইসিবি

১৫ অক্টোবর ২০১৪

শুধু ব্যয় সংকোচের মাধ্যমে ইউরো এলাকার সংকট মিটছে না৷ তাই এর প্রবক্তা জার্মানি চাপের মুখে পড়েছে৷ অন্যদিকে বন্ড কিনে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মামলার মুখে পড়েছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷

https://p.dw.com/p/1DVU4
Christine Lagarde
ছবি: Reuters/J. Ernst

উরো এলাকার সংকট কাটানোর প্রচেষ্টায় চালকের আসনে দেখা গেছে জার্মানি ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক-কে৷ ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল – আইএমএফ-এর সপ্তাহান্তের বৈঠকে ইউরোজোনের বর্তমান দুরবস্থার জন্য তাদেরকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোজোনের জন্য একের পর এক দুঃসংবাদের ফলে বাকি বিশ্বও উদ্বিগ্ন৷ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তারা চায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ৷ জার্মানির নেতৃত্বে ব্যয় সংকোচ ও সংস্কার-সর্বস্ব নীতির ফলে কোনো কাজ না হওয়ায় স্টিমুলাসের জন্য চাপ বাড়ছে৷

সোমবার ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন যে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে শক্তিশালী পদক্ষেপের প্রয়োজন৷ তাঁদের প্রস্তাব, যে সব দেশ কঠিন সংস্কার চালিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থানের উন্নতি করেছে, তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে অবকাঠামোয় বিনিয়োগের মতো আর্থিক সাহায্য দেওয়া উচিত৷ বিনিয়োগ বাড়াতে আরও পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে৷ তবে সরকারি কোষাগারের অর্থ দিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চলেছে জার্মানি৷ আগামী ২৪শে অক্টোবর ইউরোপীয় শীর্ষ নেতাদের এক সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনা হবে৷

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান মারিও দ্রাগি জার্মানিকে আরও ব্যয় করার ডাক দিয়েছেন৷ অন্যদিকে ফ্রান্স ও ইটালির মতো দেশকে শ্রম আইন শিথিল করে ব্যবসার জন্য আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷ তবে খোদ ইসিবি-ও চাপের মুখে রয়েছে৷ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে ইসিবি বন্ড কেনার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, ইউরোপীয় আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে জার্মানির কিছু অভিযোগকারী৷

ঘর সামলাতে ইউরো এলাকার উপর বেড়ে চলা চাপের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পুঁজিবাজারের উপরেও৷ তবে গত সপ্তাহে দরপতনের পর সোমবার থেকে কিছুটা উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷ নতুন করে মন্দার আশঙ্কা অবশ্য কাটছে না৷ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়র্স রেটিং এজেন্সি ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে৷ ফিনল্যান্ডের রেটিং-ও কমিয়ে দিয়েছে তারা৷

এদিকে ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না৷ ২০১৭ সাল পর্যন্ত সে দেশ অনুমোদিত মাত্রার বেশি ঘাটতি চালিয়ে যেতে চায়৷ তবে গ্রিসকে ঘিরে আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালের পর সে দেশ বেলআউট থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ দাতারা অবশ্য সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য